পবিত্র হজ পালিত হচ্ছে আজ। সকাল থেকেই আরাফাতের ময়দান মুখরিত হচ্ছে ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক’ ধ্বনিতে। এভাবে তালবিয়া পাঠ করে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজের উপস্থিতি জানাচ্ছেন লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান (হাজি)। মিনা থেকে আরাফাতের ময়দানে সমবেত হয়েছেন তারা। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে বসে থাকবেন তারা। মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা দিচ্ছেন সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি আবদুল আজিজ আল শাইখ।
বাংলাদেশসহ বিশ্বের ১৫০ টিরও বেশি দেশ থেকে এবার প্রায় ২২ লাখ মুসলিম হজ পালন করছেন। বাংলাদেশ থেকে গেছেন এক লাখ ১১ হাজার ২৭৯ জন হাজি।
আজ আরাফাতের ময়দানে খুতবার পর জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করবেন হাজিরা। তারা সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করে পাঁচ কিলোমিটার দূরের মুজদালিফায় গিয়ে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন। রাতে সেখানে অবস্থান করবেন খোলা মাঠে শয়তানের প্রতিকৃতিতে পাথর নিক্ষেপের জন্য প্রয়োজনীয় পাথর সংগ্রহ করবেন সেখান থেকে।
শুক্রবার মুজদালিফায় ফজরের নামাজ আদায় করে হাজিরা কেউ ট্রেনে, কেউ গাড়িতে, কেউ হেঁটে মিনায় যাবেন এবং নিজ নিজ তাঁবুতে ফিরবেন। মিনায় বড় শয়তানকে সাতটি পাথর মারার পর পশু কোরবানি দিয়ে মাথা ন্যাড়া করে গোসল করবেন। সেলাইবিহীন দুই টুকরো কাপড় বদল করবেন।
এরপর স্বাভাবিক পোশাক পরে মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র কাবা শরিফ সাতবার তাওয়াফ করবেন। কাবার সামনের দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়া পাহাড়ে ‘সাঈ’ (সাতবার দৌড়াবেন) করবেন। সেখান থেকে তারা আবার মিনায় যাবেন। সেখানে আরো এক বা দুই দিন অবস্থান করে হজের অন্য আনুষঙ্গিক কাজ শেষ করবেন। মিনার কাজ শেষে আবার মক্কায় বিদায়ী তাওয়াফ করার পর যারা মদিনায় যাননি, তারা মদিনায় যাবেন। যারা আগে মদিনায় গেছেন, তারা নিজ নিজ দেশে ফিরবেন।