প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকদের অবস্থা বিবেচনাসহ তাদের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন- নতুন নতুন শিল্প-কারখানা গড়ে তোলা ও উৎপাদন ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি শ্রমিকদের অধিকারের দিকে নজর বাড়াতে হবে। তিনি বলেন, ‘যদি শিল্পের পরিবেশ ও উৎপাদন নিশ্চিত করতে চান, তাহলে শ্রমিকদের সুখ-দুঃখের সাথী হতে হবে। তাদের খাদ্য, বাসস্থান ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।’ মঙ্গলবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত মে দিবস ও দুই দিনব্যাপী বিশেষ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘মালিক-শ্রমিক একতা, শিল্পোন্নয়নের মূল কথা’।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর জাতির পিতা মে দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। সংবিধানের ১৪ ও ১৯ অনুচ্ছেদে মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেন। পরিত্যক্ত মিল-কারখানা, ব্যাংক, বীমা জাতীয়করণ করে পুনরায় চালু করেন। মজুরি কমিশন গঠন করেন। নির্ধারিত মজুরি কমিশনের প্রতি আস্থা রেখে সরকারকে সহযোগিতা করতে শ্রমিকদের প্রতিও আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্ব সভায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে, বিশ্বব্যাপী মর্যাদা পাচ্ছে। বাংলাদেশ বিশ্বে উন্নয়নের মডেল হয়েছে, তা ধরে রাখতে হবে।’ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার রপ্তানি বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়েই শিল্প-কলকারখানা গড়ে তোলার দিকে নজর দিচ্ছে। সরকারের লক্ষ্য হলো গ্রামীণ অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা, কেননা গ্রামের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা যতো বাড়বে, উৎপাদনও ততো বাড়বে।
এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অনলাইন ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন, কারখানা রেজিস্ট্রেশন এবং লাইসেন্স গ্রহণ পদ্ধতিরও উদ্বোধন করেন তিনি।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ইসরাফিল আলম, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলও’র প্রতিনিধি আন্দ্রে বোগুই, এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি ফজলুল রহমান এবং জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি আব্দুল মতিন মাস্টারও বক্তব্য রাখেন।