বার্তা৭১ ডটকমঃ
ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর হঠাৎ করেই সেখানে মুসলিম, হিস্পানিক এবং অন্যান্য সংখ্যালঘু অভিবাসীদের ওপর হামলার ঘটনা বেড়ে গেছে। এমনটিই অভিযোগ করছেন এসব সম্প্রদায়ের মানুষ।
ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারের সময় বিশেষ করে মুসলিমদের টার্গেট করে যে ধরনের বক্তব্য রেখেছিলেন, তাকে এ ধরনের হামলার জন্য দায়ী করছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতারা। যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছে বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশী অভিবাসী, যাদের অধিকাংশই মুসলিম।
এরকমই একজন নিউইয়র্কে বসবাসরত বাংলাদেশী অভিবাসী মাজেদা উদ্দীন। নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এটি আমাদের জন্য খুব একটা সংকট হয়ে দাঁড়িয়েছে। খুব সাধারণ একটা উদাহরণ দিই।’
এরপর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরের দিনের ঘটনার কথা বলতে থাকেন তিনি। তিনি বলেন, ‘আমার ভাইয়ের মেয়ে বাসে করে কলেজে যাচ্ছিল। বয়স ১৯ বছর, হিজাব পড়ে। চারজন শ্বেতাঙ্গ দম্পতি তাকে অ্যাটাক করে। তার হিজাব ধরে টানাটানি করে, চিৎকার করে বলতে থাকে এ দেশ থেকে বের হয়ে যাও। এটা তোমাদের দেশ না। গালমন্দ করতে থাকে।’
মাজেদা জানান, এরপর সে বাস থেকে নেমে চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে ট্যাক্সিতে চড়ে বাসায় যায়। মুসলিমদের নিষিদ্ধ করা হবে হিজাব নিষিদ্ধ করা হবে বলে ট্রাম্প যে বক্তব্য দিয়েছেন, তারপর সকলেই কমবেশি এমন আচরণের শিকার হচ্ছেন বলে তিনি জানান। তিনি নিজেও ভীত একটি মনোভাব নিয়ে রাস্তায় চলাফেরা করেন বলে জানান।
নির্বাচনের পর এ ধরনের হামলা থামানোর কথা তো ট্রাম্প বলেছেন। তাতে কি কোনো কাজ হবে বলে মনে করেন না?
এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন এ বাসিন্দা বলেন, তাতে তিনি একমত হতে পারছেন না। তার যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, নির্বাচনের একদিন পর ট্রাম্পের নির্বাচনী ওয়েবসাইট থেকে মুসলিমদের নিষিদ্ধ করা সংক্রান্ত বক্তব্য সরিয়ে নেয়া হলেও, তৃতীয় দিনে আবার সেটি ওয়েবসাইটে উঠে আসে। সূত্র: বিবিসি