বার্তা৭১ ডটকমঃ
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, আমি সামরিক শাসক নই। বিচারপতি সাত্তার সামরিক আইন জারি করেছিলেন। আমি সেদিন ব্যারাকে ফিরে যেতে চেয়েছিলাম। ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য ১৯৮৪ সালে নির্বাচন দিয়েছিলাম। তখন কেউ নির্বাচনে আসেনি। তাই ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টি গঠন করতে বাধ্য হয়েছিলাম। আর ক্ষমতায় ছিলাম বিধায় এ দেশের আমুল পরিবর্তন আনতে পেরেছিলাম। সবই আল্লাহর ইচ্ছা।
রবিবার দুপুরে জাপা ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত গুলশানের ইমানুয়েলস্ সেন্টারে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আক্ষেপ করে এরশাদ বলেন, তোমরা যারা আমাকে স্বৈরাচার বলে আখ্যা দাও, আমি দেশের জন্য যে উন্নয়ন ও কাজ করেছি তা তোমরা করতে পারোনি। আজকে যে রাস্তার উপর ফ্লাইওভার নির্মিত হচ্ছে সে রাস্তা আমার নির্মাণ করা। যে পদ্মা সেতু নির্মিত হচ্ছে সে মাওয়া বিশ্বরোডও আমার শাসনামলে করা।
তিনি বলেন, বাংলা ভাষা আজ আন্তজার্তিক মাতৃভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এই স্বৈরাচারই ১৯৮৬ সালে সংসদে বিল পাস করেছিলো- সংসদসহ সকল অফিস আদালতে বাংলাভাষার প্রচলন করতে হবে। বিজ্ঞাপন, ক্যালেন্ডার এবং গাড়ির নম্বর বাংলা বাধ্যতামূলক করেছিলাম। শহীদ মিনার ভঙ্গুর অবস্থায় ছিলো তার পূর্ণাঙ্গ সংস্কার আমি স্বৈরাচারই করেছিলাম। সৃতিসৌধ সংস্কার ও শহীদ বুদ্ধিজীবী মাজার আমি করেছিলাম।
তিনি বলেন, আমার নামে ৪২টি মামলা। এখনও মামলা চলমান। কেন চলছে? এ মামলাগুলো আগের সরকারের দেয়া। তারপরও এ মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে না। কারণ, জাতীয় পার্টিকে সবাই ফ্যাক্টর মনে করে। এত অত্যাচার ও অবিচারের পরও আমি বেঁচে আছি। আমার কোনো বডিগার্ড নেই, গানম্যান নেই, একা চলি। কারণ আমি জানি দেশের মানুষ আমাকে ভালোবাসে। জনগণই আমার গানম্যান।
বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, এই দেশে যারা প্রতিহিংসার রাজনীতি চালু করেছিলো তাদের অবস্থা আজ কী? তারা আজ নিঃশেষ হতে চলেছে। সবই আল্লাহর বিচার।
জাপা ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক এসএম ফয়সল চিশতির সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন দলের সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ, কো-চেয়ারম্যান জিএম কাদের, মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি,প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, সাইদুর রহমান টেপা, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, শাহাজাদা, শ্রমিক পার্টির সভাপতি একেএম আসরাফুজ্জামান খাঁন, ছাত্র সমাজের সভাপতি সৈয়দ ইফতেখার আহসান, মহিলা পার্টির নেত্রী আসমা আশরাফ মেজর অব. খালেদ আখতার, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু, যুগ্ম মহাসচিব আশরাফ সিদ্দিকী, দফতর সম্পাদক সুলতান মাহমুদ, যুব সংহতির সদস্য সচিব ফখরুল আহসান প্রমুখ।