বার্তা৭১ ডটকমঃ ১৭ বছর আগে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা পুঁতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ১০ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া বিস্ফোরক মামলায় নয়জনের ২০ বছর করে কারাদাণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার দুপরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২এর বিচারক মমতাজ বেগম এই রায় ঘোষণা করেন। গত ১০ আগস্ট মামলা দুটির যুক্তিতর্কের শুনানি শেষে রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেন ট্রাইব্যুনাল।
এর আগে মামলাগুলোয় ৮৩ সাক্ষীর মধ্যে ৬৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।
২০০০ সালের ২২ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভার প্যান্ডেল তৈরির সময় শক্তিশালী একটি বোমা দেখতে পাওয়া যায়। সেনাবাহিনীর একটি দল ৭৬ কেজি ওজনের ওই বোমা উদ্ধার করে। পরদিন ২৩ জুলাই ৪০ কেজি ওজনের একটি বোমা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিনই কোটালীপাড়া থানার পুলিশ হত্যাচেষ্টা এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করে।
তদন্ত শেষে ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ২০১০ সালে গোপালগঞ্জ আদালত থেকে মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন মো. মহিবুল্লাহ, মুন্সি ইব্রাহিম, মো. মাহমুদ আজহার, মো. রাশেদ ড্রাইভার, মো. শাহ নেওয়াজ, মো. ইউসুফ, মো. লোকমান, শেখ মো. এনামুল ও মো. মিজানুর রহমান।
বাংলাদেশে সাবেক ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর সিলেটে গ্রেনেড হামলা ও তিনজনকে হত্যার মামলায় মুফতি হান্নানের ফাঁসি ইতিমধ্যে কার্যকর হওয়ায় এ মামলা থেকে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে।