বার্তা৭১ ডটকমঃ ঝুঁকির ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে ব্যাংকিং খাতই সবচেয়ে বেশি উদ্বেগের খাত। এই খাতের দুর্নীতি দমনে, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় উদ্যোগ নিতে হবে। এ জন্য ব্যাংক খাতে তদারকি বাড়াতে হবে। আবার ঋণ আদায়ে আইনগত ও আর্থিক কাঠামোর উন্নতি করতে হবে।
সোমবার বিশ্বব্যাংকের এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির ঢাকা কার্যালয়ের মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন অর্থনীতির হালনাগাদ পরিস্থিতি তুলে ধরতে গিয়ে এই কথা বলেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকে তারল্য সংকট না থাকলেও খেলাপি ঋণ অনেক বেশি। আবার বেশ কিছু বেসরকারি ব্যাংকে তারল্য সংকট আছে।
আগারগাঁওয়ের বিশ্বব্যাংক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেট প্রকাশ করা হয়।
বিশ্বব্যাংক আরও বলেছে, সাম্প্রতিক সময়ে খেলাপি ঋণের ক্ষেত্রে তেমন উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হয়নি। এটি মূলধন ঘাটতির অন্যতম কারণ। কয়েক বছর ধরে এই ঘাটতি নিরসনে বাজেটের মাধ্যমে অর্থ দেওয়া হচ্ছে। তাঁর মতে, মুদ্রানীতি এখন সম্প্রসারণমূলক হয়ে গেছে। বিশ্ব অর্থনীতির গতি-প্রকৃতি অনুযায়ী, সতর্কতামূলক মুদ্রানীতি হওয়া উচিত।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সাময়িক হিসাব করে বলেছে, চলতি অর্থবছরের ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ মোট দেশজ উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি হবে। এই হিসাব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। প্রবৃদ্ধির হিসাব নিয়ে কিছু প্রশ্ন করেছে বিশ্বব্যাংক। প্রশ্নগুলো হলো এত প্রবৃদ্ধি কি অর্থনীতির সক্ষমতার অতিব্যবহার নাকি কৃত্রিমভাবে তৈরি করা? এত প্রবৃদ্ধির জন্য কাঠামোগত পরিবর্তনের কোনো প্রমাণ নেই নাকি উৎপাদনশীলতা বেড়েছে? আবার আইনি পরিবর্তন হয়নি, তেলের দামও কমেনি, স্বস্তিবোধের কোনো কারণও নেই।
তবে বিশ্বব্যাংক মনে করেন, এ দেশে ৬ দশমিক ৫ থেকে ৬ দশমিক ৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের সম্ভাবনা আছে। সরকারি হিসাবে তা অতিক্রম করে ফেলেছে।
জাহিদ হোসেন এই বিষয়ে বলেন, জাতীয় আয়ের প্রকৃত হিসাব করার জন্য বড় মাপের প্রাতিষ্ঠানিক প্রয়োজনীয়তা আছে। বিবিএস জেলাপর্যায় থেকেও তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। অনেক অর্থনীতিবিদ বলেন, বিবিএস হলো সুপ্রিম কোর্টের মতো। যেহেতু এখানে আইনি কোনো বিষয় নেই। তাই প্রশ্ন তুলতেই পারি। এসব বিষয়ে আরও বিশ্লেষণ করা দরকার।