বার্তা৭১ ডটকমঃ সদ্য সমাপ্ত তৃতীয় ধাপের গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট পুনঃগণনার দাবিতে সড়ক অবরোধ ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. বাবুল শেখ ও তার সমর্থকরা।
আজ সোমবার সকাল ৯টার দিকে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর শত শত নেতা-কর্মী ও সমর্থক টুঙ্গিপাড়া-নাজিরপুর সড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ সৃষ্টি করেন। এ সময় প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক এলাকার বিভিন্ন স্থানে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে ঘোষিত ফলাফল বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।
পরে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. বাবুল শেখের গওহরডাঙ্গা চৌরাস্তার মোড়ের অফিসে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পরাজিত প্রার্থী মো. বাবুল শেখ বলেন, ২৪ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমার দোয়াত-কলম প্রতীক বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছে। কিন্তু, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. সোলায়মান বিশ্বাস নির্বাচনী কর্মকর্তাদের অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে আমার দোয়াত-কলম মার্কার বিজয়কে ছিনিয়ে নিয়েছেন। মাত্র ২৮ ভোটে আমাকে পরাজিত দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া নির্বাচনের দিন দুপুরে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সোলায়মান বিশ্বাস গিমাডাঙ্গা পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টকে মারপিট দিয়ে বের করে দেন। পরে তারা ভোট কেটে নেয়। এ কেন্দ্রে শতকরা ৮৬ ভাগ ভোট কাস্ট দেখানো হয়েছে।
তিনি আরো অভিযোগ করে বলেন, ভোট গণনার সময় সুকৌশলে আমার ভোট কম দেখিয়ে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্খী সোলায়মান বিশ্বাসকে ২৮ ভোটে জয়ী ঘোষণা করা হয়। ভোট পুনঃগণনা করলে আমিই বিজয়ী হবো।
তিনি আগামী আন্দোলন সংগ্রামের আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ভোট পুনঃগণনা করে ফলাফল ঘোষণা না করলে হরতাল ও অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।
এ সময় তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জাহাঙ্গির হোসেন, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ শুকুর আহম্মেদ, যুগ্ম-আহবায়ক সাইফুল ইসলাম, ডুমুরিয়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গাউসুর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, রোববার টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে সোলায়মান বিশ্বাস ২৭ হাজার ৬০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। আর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মো. বাবুল শেখ ২৭ হাজার ৩২ ভোট পান। পরে জেলা রিটার্নি অফিসারের কার্যালয় থেকে সোলায়মান বিশ্বাসকে ২৮ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।