বার্তা৭১ ডটকমঃ স্বাধীনতা দিবসে নেতা-কর্মীদের শপথ নেওয়ার আহ্বান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমাদের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করা। তাকে মুক্ত করেলেই গণতন্ত্র মুক্ত হবে। আসুন সকল অঙ্গসংগঠন, সহযোগী সংগঠন আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে দেশনেত্রীকে মুক্ত করি, গণতন্ত্রকে মুক্ত করি।
সোমবার বিকেল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এক আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে এ আয়োজন করে বিএনপি।
সভাপতির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, স্বাধীনতার ৪৮ বছর পর আবারও নির্যাতন-নিপীড়নের মধ্য দিয়ে ছদ্মবেশে একটা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার। আজকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিপন্ন, সার্বভৌমত্ব বিপন্ন।
তিনি বলেন, সরকার বারবার বোঝাতে চাচ্ছে, বাংলাদেশের এমন উন্নয়ন হয়েছে যা অতীতে কখনো হয়নি। পৃথিবীর কাছে আজকে তা একটি রোল মডেল হয়ে আছে। কিন্তু আসলে ভেতরটা ফাঁকা। এই উন্নয়ন হলো দুর্নীতির উন্নয়ন। এই উন্নয়নের ফলে কিছু সংখ্যক মানুষ ধনী থেকে ধনী হয়েছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার জোর করে ক্ষমতায় বসে আছে। এদেরকে সরানো ছাড়া দেশের মানুষের মুক্তি সম্ভব নয়।
খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা জানিয়ে বলেন, প্রতিদিন তার শরীর খারাপের দিকে যাচ্ছে। কিন্তু এই সরকার তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করছে না।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, সরকার যতই চেষ্টা করুক, ইতিহাস বিকৃতি করে শহীদ জিয়া রহমানকে মুছে দেয়া যাবে না। দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকটের বিএনপিকে রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণ করতে হবে।
তিনি বলেন, আজকে বিএনপির পবিত্র দায়িত্ব হচ্ছে দেশের গণতন্ত্র রক্ষা করা। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হলে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস-চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দীন আহমেদ বীর বিক্রম, শামসুজ্জামান দুদু, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম-মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন প্রমুখ অংশ নেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী।