বার্তা৭১ ডটকমঃ পেঁয়াজ আমদানিতে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক কমানোর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, যদি রাজস্ব খাতে কোনো কিছু করার থাকে অবশ্যই ছাড় দেয়া হবে। অতীতেও বিবেচনা করা হয়েছে, এখনও করা হবে।
বুধবার (১৬ সেপ্টেম্বর) অনলাইনে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের খবরে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে, এর প্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। পেঁয়াজের ওপর আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ কমানোর জন্য এনবিআরকে চিঠি দিয়েছে। তারপরও পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাচ্ছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে জনগণ।
এ দুর্ভোগ লাঘবে কী পদক্ষেপ নেয়া হবে, জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের দুর্দশা বাড়ুক এটা আমরা চাই না। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে আমরা কেউ এই প্রত্যাশা করি না। আমাদের হাতে যেটা আছে, যদি রাজস্ব খাতে কোনো কিছু করার থাকে অবশ্যই ছাড় দেয়া হবে।’
অসাধু ব্যবসায়ীদের জন্য কী ব্যবস্থা নেবেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার একটু অংশ ছিল। যদি কোনো কারণে রাজস্ব বাড়িয়ে দেই, সে কারণে যদি দাম বাড়ে সেটার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় দায়ী। বাকি অংশ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাজ। আমার মনে হয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে দেখাশোনা করছে। অতীতেও সমস্যা হয়েছিল পড়ে তা সমাধান হয়েছে। ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে আমার কিছু বলা লাগবে না। এখন যে আলোচনা হয়েছে তাই পরিষ্কার মেসেজ।’
এডিবির (এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক) জিডিপি নিয়ে পূর্বাভাসের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এডিবি তো সারা বছরই কাজ করে। আমরা করি বছরে একবার। তারা বছরে একাধিকবার করে। তারা আমাদের সম্পর্কে খারাপ বলেনি। আমরা কাজ শুরু করেছি। তারা বলেছে আমাদের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৮ হবে।’
তিনি বলেন, ‘এডিবি তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, বাংলাদেশ ধীরে হলেও শুরু করেছে। আমরা ধীরে হলেও এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের যেতে হবে অনেক দূর। সবাইকে সাথে নিয়ে আমরা সে কাজটি করবো। আমরা ৫.২ গত বছর বলেছিলাম। সেটা আমরা ৫.২৪ অর্জন করেছি। এ বছর আমাদের আশা, গত বছর আমরা যেটা করতে পারিনি; ৮.২ ভাগ। এ বছর আমাদের আশা বাজেটে যে প্রক্ষেপণ করা হয়েছে সেটা অর্জন করতে পারবো। সে স্বপ্ন পূরণে কাজ করছি।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ তাদের সব কিছু উজাড় করে দিয়ে উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা ৬.৮ ভাগ যদি করতে পারি তাহলে সাউথ এশিয়া নয়, সাউথ ইস্ট এশিয়ার সব দেশের মধ্যে আমরা ৩ নম্বরে থাকব। গত বছর যেটা ছিল ৫.২৪, সেটাও এ অঞ্চলের মধ্যে সবার উপরে। এখন এই বছরও ৬.৮ সেটা বিবেচনা করেন তাহলে আমাদের ওপর থাকে মাত্র ভারত আর চীন। আমি মনে করি আমরা ভালোভাবে এগোচ্ছি। এটি আমাদের জন্য কম অর্জন নয়।’