বার্তা৭১ ডটকমঃ ১৬ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ উদ্বোধনের সঙ্গে মালবাহী ট্রেন চলাচলের প্রস্তুতি চলছে। দু’দেশের মধ্যে নতুন রেলপথ ও ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্র্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বুধবার (২১ অক্টোবর) রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন এ তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, করোনার কারণে দু’দেশের মধ্যে বন্ধ থাকা ট্রেনগুলোর চালু করা যায় কিনা, কিংবা চালু করতে হলে কী কী করতে হবে- তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। আগামী ১৬ ডিসেম্বরকে সামনে রেখে দু’দেশের মধ্যে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রেলপথ উদ্বোধনের সঙ্গে মালবাহী ট্রেন চালানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। দু’দেশের মধ্যে নতুন রেলপথ ও ট্রেন চলাচলের উদ্বোধন করবেন দু’দেশের প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে আগামী ২৬ মার্চকে সামনে রেখে ঢাকা থেকে শিলিগুড়ি পর্যন্ত একটি যাত্রীবাহী ট্রেন উদ্বোধনের পরিকল্পনা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হচ্ছে। ভারতের সহযোগিতায় রেলওয়েতে অনেকগুলো উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। সাক্ষাতে ভারতীয় হাইকমিশনার রেলে আরও সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন। একইসঙ্গে দু’দেশের মধ্যে বন্ধ হয়ে থাকা রেলপথ দ্রুত সময়ের মধ্যে চালু করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
রেলমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প চালু হলে ভারতীয় ট্রেন যশোরের বেনাপোল থেকে সহজে ও কম সময়ে ঢাকায় আসতে পারবে। ভারতীয় হাইকমিশনারের সঙ্গে সিরাজগঞ্জে একটি কন্টেইনার টার্মিনাল ডিপো নির্মাণ বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। একইসঙ্গে সৈয়দপুরে একটি নতুন কোচ তৈরির কারখানা নির্মাণ বিষয়ে ভারতের সহযোগিতা থাকবে বলে হাইকমিশনার জানিয়েছেন। বাংলাদেশ রেলওয়েতে ক্যাটারিং সার্ভিস এবং ট্রেনিং একাডেমি উন্নয়নেও আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভারত।
এসময় ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সর্ম্পক অনেক গভীর-অকৃত্রিম। ভারত বাংলাদেশের উন্নয়নেও সহযোগিতা করছে। ভারতীয় অর্থায়নে বাংলাদেশ রেলে বহু উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে- ইতোমধ্যে অনেক প্রকল্প সমাপ্তও হয়েছে।
হাইকমিশনার বলেন, শুধু রেল সেক্টরে নয়, দেশের উন্নয়নে ভারত সরকার সব সময় সহযোগিতা করবে। দু’দেশের মধ্যে যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সর্ম্পক রয়েছে তা দিনদিন আরো উন্নত হবে। দু’দেশের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্যের আরও উন্নয়ন ঘটাতে চায় ভারত। একইসঙ্গে অর্থনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিকসহ সব ক্ষেত্রে সহযোগিতাও আরো বৃদ্ধি পাবে।