বার্তা৭১ ডটকমঃ মানবিক দিক বিবেচনায় জামিন পেয়েছেন হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি সিকদার গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মাহবুবুল হক সিকদার ওরফে রন হক সিকদার।
শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমাম বাবার জানাজায় অংশ নেওয়ার জন্য রন হককে জামিন দেন।
শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে রন হককে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান জোনাল টিমের এসআই রিপন উদ্দিন। তাকে ঢাকা সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। রন হকের পক্ষে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। বিকেল ৩টার দিকে জামিন শুনানি হয়। রিমান্ড আবেদন না থাকায় তাকে এজলাসে তোলা হয়নি।
আসামির পক্ষে ড. সাইফুল ইসলাম, একেএম ফোরকান আলী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তারা বলেন, ‘সিকদার গ্রুপের চেয়ারম্যান ও রন হকের বাবা জয়নুল হক সিকদার বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার লাশ আজ ৩টা থেকে ৫টার মধ্যে বিমানযোগে ঢাকায় পৌঁছাবে। বাবার জানাজায় অংশ নেওয়ার জন্য তিনি আদালতের অনুকম্পা চান। আসামির বাবা মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে আসামি আদালতের অনুকম্পা পেতে পারেন।’
তারা বলেন, ‘মামলাটি পূর্বপরিকল্পিত এবং ষড়যন্ত্রমূলক। এজাহারে নাম থাকলেও তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন। তার জামিন প্রার্থনা করছি। জামিন দিলে তিনি পলাতক হবেন না।’
রাষ্ট্রপক্ষে হেমায়েত উদ্দিন খান (হিরণ) বলেন, ‘তার (আসামির) বাবা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। তিনি মারা গেছেন। সেক্ষেত্রে তার ছেলের জামিনের বিষয়টি আপনার (বিচারকের) বিবেচনা।’
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত মানবিক দিক বিবেচনায় তাকে ৫ হাজার টাকা মুচলেকায় আগামী ১০ মার্চ পর্যন্ত জামিনের আদেশ দেন।
শুক্রবার সকাল ১০টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পরপরই রন হককে গ্রেপ্তার করা হয়।
এক্সিম ব্যাংকের দুই কর্মকর্তাকে নির্যাতন ও গুলি করে হত্যার চেষ্টা করার অভিযোগে সিকদার গ্রুপ অব কোম্পানিজের এমডি রন হক সিকদার ও তার ভাই দিপু হক সিকদারের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করেছিলেন এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সিরাজুল ইসলাম।