বার্তা৭১ ডটকমঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিজাতীয় ভাষা চাপিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা রুখে দিয়েছিলো তৎকালীন ছাত্রসমাজ। ১৯৫২ সালের এই দিনে মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা রাখতে গিয়ে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিলেন বাংলার দামাল ছেলেরা।
রবিবার বিকেলে গণভবন থেকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক’প্রদান অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ সব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি পদক তুলে দেন।
ভাষা সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সরকার প্রথমবারের মতো চালু করলো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক।
শেখ হাসিনা বলেন, মায়ের ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তির স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু স্বাধীনতার ইতিহাস থেকে কুচক্রীরা অনেকবার বঙ্গবন্ধুকে বাদ দেয়ার চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু সত্যকে কেউ মুছে ফেলতে পারে না।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে অন্য ভাষা শেখার পাশাপাশি মাতৃভাষাকেও গুরুত্ব দিতে হবে।
করোনার কারণে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে না পারায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক তুলে দিতে পারায় জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের কাছে ক্ষমা চান প্রধানমন্ত্রী।
নিজ নিজ মাতৃভাষা সংরক্ষণ, পুনরুজ্জীবন, বিকাশ, চর্চা, প্রচার-প্রসারে অবদান রাখায় জাতীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামসহ তিনজন ব্যক্তি এবং একটি প্রতিষ্ঠান এ বছর ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা পদক’ পেয়েছেন। জাতীয় পর্যায়ে মাতৃভাষার সংরক্ষণ, পুনরুজ্জীবন ও বিকাশে অবদানের জন্য ২০২১ সালে জাতীয় অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এ পুরস্কার পেয়েছেন।
আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উজবেকিস্তানের ইজমাইলং গ্যালং এবং একটি প্রতিষ্ঠানকে এই পদকে ভূষিত করা হলো।