বার্তা৭১ ডটকমঃ আঞ্চলিক উন্নতির জন্য ভারত-বাংলাদেশকে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
শুক্রবার (২৬ মার্চ) জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীর ১০ম দিনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মোদি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক অটুট থাকবে। এই দু’দেশের সম্পর্কের কোনো ফাটল ধরবে না। বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক মজবুত। আর বাংলাদেশকে কোনো শক্তি দমিয়ে রাখতে পারবে না।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, বাংলাদেশকে পরাধীন করে রাখা যাবে না। একাত্তরের ৭ মার্চে বঙ্গবন্ধু তার ঐতিহাসিক ভাষণ থেকে যে ডাক দিয়েছিলেন ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ সেই বক্তব্যও নিজের বক্তব্যে বাংলা ভাষাতেই তুলে ধরেন মোদি।
তিনি বলেন, সেদিন বঙ্গবন্ধুর ডাকে বাংলাদেশের কৃষক, যুবক, শ্রমিক, মজুর সবাই এক হয়ে মুক্তিবাহিনী গঠন করে স্বাধীনতার সশস্ত্র লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। তিনি বাঙালিকে মুক্তির স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। সে কারণেই আজ মুজিববর্ষে মানুষ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন, আদর্শ স্মরণ করছে।
তিনি আরো বলেন, আমি গর্বের সঙ্গে বলতে চাই আমার তরুণ জীবনে প্রথম যেসব আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম, তার মধ্যে ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে আন্দোলন। তখন আমাদের বয়স ছিল ২০-২২ বছর। ওই সময় আমি ও আমার সঙ্গীরা বাংলাদেশের মানুষের মুক্তির জন্য সত্যাগ্রহ আন্দোলন করেছি। এ কারণে গ্রেফতারও হয়েছিলাম।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এবং অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা এবং জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরীসহ বাংলাদেশ, ভারতসহ বিভিন্ন দেশের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত রয়েছেন।
এর আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে দেয়া ‘গান্ধী শান্তি পুরস্কার’ হস্তান্তর করেছেন মোদি। জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন তিনি।
গত ২২ মার্চ ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ২০২০ সালের গান্ধী শান্তি পুরস্কারের জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ঘোষণা করে। বঙ্গবন্ধুকে প্রথমবারের মতো মরণোত্তর এই পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গান্ধী শান্তি পুরস্কার দেয়ায় ভারত সরকারের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ। ২৩ মার্চ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়।