বার্তা৭১ ডটকমঃ করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগামী ২৩ মে থেকে দেশের সকল স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হবে। পূর্বের সিদ্ধান্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বহাল রয়েছে। সে মোতাবেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা সচিব মো. মাহবুব হোসেন।
বৃহস্পতিবার গণসাক্ষরতা অভিযানের আয়োজনে ‘করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে করোনায় বিপর্যস্ত বাজেট কেমন হওয়া উচিৎ’ শীর্ষক ভার্চুয়াল সংলাপে এমন কথা বলেন সচিব।
শিক্ষা সচিব বলেন, করোনার মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে আমরা টেলিভিশন, অনলাইন ও রেডিওতে ক্লাস সম্প্রচার শুরু করেছি। তার পাশাপাশি মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের বাসায় অ্যাসাইমেন্ট কাজ দেয়া হচ্ছে। চলমান লকডাউনের কারণে বর্তমানে তা বন্ধ রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আগামী বছরের জাতীয় বাজেটে শিক্ষার বরাদ্দ বাড়ানো হবে। বাজেটে শিক্ষাকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে বাজেটের আকার বড় করলেও সমস্যা সমাধান হয় না, এটি ব্যবহারে পরিকল্পনা, সক্ষমতা ও অভিজ্ঞতা প্রয়োজন হয়।
সচিব বলেন, দেশের পরিস্থিতির উন্নতি হলে আগামী ২৩ মে স্কুল-কলেজ খুলে দেয়া হবে। আমাদের আগের ঘোষণা অনুযায়ী যে সিদ্ধান্ত ছিলো তা এখনো বহাল রয়েছে। এটি বাস্তবায়নে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
এদিকে গত ২৫ মার্চ প্রাথমিক, করোনাভাইরাস সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির বৈঠক শেষে ২৩ মে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ঘোষণা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মচারী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে ও কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির পরামর্শক্রমে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আগামী ঈদুল ফিতরের পর ২৩ মে ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তবে এসময়ে অনলাইন শিক্ষাকার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়। একইসঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের পর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এরপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ধাপে ধাপে বাড়িয়ে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছিল।