ঢাকা, ২৯ মে: স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু সাংবাদিকদের পুলিশ থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করে সংবাদ সংগ্রহের পরামর্শ দিয়েছেন। পুলিশের হাতে প্রথম আলোর তিন ফটোসাংবাদিকসহ সব সাংবাদিক নির্যাতনের ব্যাপারে এক প্রশ্নের জবাবে আইন-শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব পালনের সময় সাংবাদিকদের একটু দূরে থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
তবে অনলাইন সংবাদ সংস্থা বিডিনিউজকর্মীদের ওপর সন্ত্রসীদের হামলা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দুঃখ প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এ ধরনের ঘটনা কারোরই কাম্য নয়। তদন্ত চলছে। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ডিজিটাল বাংলাদেশ ফোরাম আয়োজিত ‘জঙ্গিবাদ ও হরতাল: সমৃদ্ধ দেশ গড়ার অন্তরায়’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “হরতাল মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের একমাত্র অস্ত্র। কারণ জনগণ যখন তার মৌলিক অধিকার হারিয়ে ফেলে তখন হরতালের মাধ্যমে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হয়। আওয়ামী লীগ হরতালকে জণগণের অধিকার আদায়ের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছিল। কিন্তু বিরোধী দল এই অস্ত্রের অপব্যবহার করেছে। এই হাতিয়ারকে ভোতা ও অকার্যকর করেছে।’’
শামসুল হক টুকু বলেন, “আন্দোলন ও হরতালের মাধ্যমেই আমরা স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে গিয়েছিলাম। ছয় দফা উপস্থাপনের জন্য শেখ মুজিবসহ অন্যদের বিরুদ্ধে যখন আগরতলা যড়ষন্ত্র মামলা হয়েছিল তখনো আমরা হরতাল করে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করেছিলাম।”
তিনি বলেন, “বর্তমানে হরতাল আর মানুষের অধিকার আদায়ে ব্যবহার করা হচ্ছে না। হরতাল আর হরতাল নেই বিরোধী দল এটাকে ভয়তালে পরিণত করেছে। তারা হরতালের নামে গাড়ি পুড়িয়ে ও মানুষ হত্যা করছে। এটার বিরুদ্ধে শুধু আইন-শঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নয়, গণতন্ত্রকামী সব মানুষকে সোচ্চার হতে হবে।”
ডিজিটাল বাংলাদেশ ফোরামের সভাপতি এম কে এম রানা চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির ভিসি প্রফেসর আব্দুল মান্নান চৌধুরী, সংসদ সদস্য তাজুল ইসলাম, অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালক শাহজাদা মহিউদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা যুব কমান্ডের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাচ্চু প্রমুখ।