বার্তা৭১ ডটকমঃ বঙ্গবন্ধুর খুনিরা পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা.মুরাদ হাসান।
তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশকে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করেছে, বাংলাদেশের সকল ইতিহাস মুছে ফেলতে চায় এবং দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিনত করতে চায় তারা এখনো পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে।
শনিবার (২৮ আগস্ট) জামালপুরের সরিষাবাড়ি উপজেলার ভাটারা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবগঠিত গভর্নিং বডির পরিচিতি এবং মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ড্রেস বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় ২০০ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ড্রেস বিতরণ করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা রক্ত দিয়ে কিনে নিয়েছি এই বাংলাদেশ, এই বাংলাদেশ কারো দয়ার দান নয়। কেউ আমাদের ভিক্ষা দেয় নাই। আমার পিতা আমার পূর্ব পুরুষেরা রক্ত দিয়ে এই বাংলাদেশকে কিনে নিয়েছেন। অতএব আমাদের অনেক দায় আছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর মূল খুনি, প্রধান খলনায়ক, পৃষ্ঠপোষক, কুশীলব এবং সকল ষড়যন্ত্রের মূল পরিকল্পনাকারী এবং বাস্তবায়নকারীর নাম জিয়াউর রহমান। আমরা যারা মুক্তিযুদ্ধের পরে জন্মগ্রহণ করেছি এবং আমার পরে যারা আমার সন্তান ভবিষ্যতে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা সৃষ্টি করবে, যারা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ নিমার্ণ করবে, তাদের কাছে আমার পবিত্র দায়িত্ব হলো এই খুনি জিয়ার মুখোশ উন্মোচিত করা।
ডা.মুরাদ হাসান বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা পর ২১ বছর পর্যন্ত আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করে এই বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানানোর চেষ্টায় রাজনীতি করা জিয়ার প্রেতাত্মা বেগম জিয়াসহ এরশাদের ২১ বছরের দুঃশাসন আমরা দেখেছি।
তিনি বলেন, ২১ বছর পর বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর বাংলার মাটিতে বঙ্গবন্ধুর খুনি, যুদ্ধাপরাধী ও দালাল রাজাকারদের বিচার হয়েছে। শুধু তাই নয়, জাতীয় চার নেতা হত্যারও বিচার হয়েছে। ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার বিচার প্রক্রিয়াধীন, বাংলার মাটিতে নৃশংস এ হামলার বিচারও হবেইনশাআল্লাহ।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, শুধু একটি মামলা, একটি বিচার, একটি রায় বাকী আছে সেটি হলো মূল খুনির মরণোত্তর বিচার। জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার এই বাংলার মাটিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সম্পন্ন করতে চাই। আমাদের শপথ একটাই, আমাদের রাজনীতি করার কারণ একটাই, আমরা ডাক্তার হয়েও নিজেদের পেশায় নিজেরা চাকরি করি নাই। বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান হিসেবে আমাদের সেই অসমাপ্ত কাজ শেষ করার শপথ নিয়ে রাজনীতির মাঠে পা রেখেছি। আমাদের দায়িত্ব একটাই এই খুনি পরিবারের মুখোশ খুলে দেয়া। বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে এই বিচার বাংলার মাটিতে সম্পন্ন করে আমাদের কপালের অভিষাপের কালো দাগ আজন্মের জন্য মুছে ফেলতে চাই।এই আমার শপথ এই আমার অঙ্গীকার।
ডা.মুরাদ বলেন, শেখ হাসিনা আজ প্রধানমন্ত্রী বলেই আমি মুরাদ আজ সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রীসভার সদস্য হতে পেরেছি, এই বাংলাদেশের যত উন্নয়ন সব শেখ হাসিনার হাত ধরেই।বাংলাদেশ সকল সূচকে যুগান্তকারী মাইলফলক স্পর্শ তো করবেই, কারণ আমাদের প্রধানমন্ত্রীর নাম শেখ হাসিনা।
ভাটারা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি আবু বক্কর সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-সরিষাবাড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন পাঠান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সানোয়ার হোসেন বাদশা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিহাব উদ্দিন আহমদ, পৌর মেয়র মনির উদ্দীন, ভাটারা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বাদল, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য শেখ রাসেল, ভাটারা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী, সরিষাবাড়ি পৌরসভা প্রাঙ্গণে সৌর বিদ্যুতায়িত সড়ক বাতি স্থাপন প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন করেন।