সেনাবাহিনীকে পূর্ব ও পশ্চিম কমান্ডে ভাগের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।
সেনাবাহিনীর আধুনিকায়ন এবং শক্তিশালী করতে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে এটা করা হচ্ছে বলে বুধবার সংসদে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এ কে খন্দকার।
বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান এ কে খন্দকার সংসদ কাজে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী।
অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আসমা জেরীন ঝুমুর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সেনাবাহিনীকে আধুনিক ও শক্তিশালী করার জন্য স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।
স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনাগুলো তুলে ধরে এ কে খন্দকার বলেন, “স্বল্পমেয়াদি পরিকল্পনার আওতায় সেনাবাহিনীর সামগ্রিক সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্গঠন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। সেনাবাহিনীর বিদ্যমান আদেশ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাকে ইস্টার্ন কমান্ড এবং ওয়েস্টার্ন কমান্ডে বিন্যস্তকরণ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
এছাড়া প্রতিটি সদর দপ্তর ও ইউনিটগুলোতে তথ্য-প্রযুক্তির যোগ্যতাসম্পন্ন জনবল ও সরঞ্জাম এবং শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে ব্যবহৃত ও প্রয়োজনীয় আধুনিক সারঞ্জামগুলো সাংগঠনিক কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যবস্থা গ্রহণ হবে বলে জানান তিনি।
সশস্ত্র বাহিনীর জন্য বর্তমান সরকারের সময়ে কী কী কেনা হবে, তাও তুলে ধরেন এ কে খন্দকার।
তিনি জানান, ৪৪টি অত্যাধুনিক মডেলের এমবিটি-২০০০ ট্যাংক কেনার প্রক্রিয়া চলছে এবং ১৬টি এফ-৭ জঙ্গি বিমান কেনার চুক্তি হয়েছে।