বার্তা ৭১ ডট কমঃ নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার ২১ বছর পর গতকাল শনিবার সেই বহুকাঙ্খিত পুরস্কারটি হাতে নিলেন মিয়ানমারের বিরোধী দলীয় নেত্রী অং সান সু চি। পুরস্কার হাতে নিয়েই সু চি বলেন, এত বছর পর তার মনে হচ্ছে তিনি স্বপ্নের জগত্ থেকে বাস্তব জগতে ফিরে এসেছেন। ১৯৯১ সালে নোবেল পেলেও তিনি তা আনতে মিয়ানমারের বাইরে যাননি, কারণ দেশের বাইরে গেলে স্বদেশে ফিরতে সামরিক সরকারের বাধার সম্মুখীন হবার সম্ভাবনা ছিল। খবর বিবিসির।গতকাল নরওয়ের অসলোতে নোবেল ভাষণে সু চি পশ্চিমাদের সমর্থন ও সহযোগিতায় মিয়ানমারে পরিবর্তন আসছে বলে মন্ত্তব্য করেন। ভাষণ দেয়ার সময় অতীতে ফিরে যান সু চি। তিনি বলেন, ‘রেডিওর খবরে আমি নোবেল পুরস্কার জয়ের কথা শুনেছিলেন। তবে আমার কাছে খবরটি অবাস্তব বলে মনে হচ্ছিল। তবে এটাও সত্যি, এই খবরে আমার মনের একটি জানালা খুলে গিয়েছিল।’ সু চি আরো বলেন, ‘গৃহবন্দী থাকার সময় মনে হতো, বাস্তব দুনিয়ার সাথে আমার আর কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু ওই সময়ে পাওয়া নোবেল আমাকে বাস্তবে ফিরিয়ে আনে। তখন আমার মনে হলো, মিয়ানমারকে এবং মিয়ানমারের দুর্দশাকে বিশ্ববাসী ভুলে যায়নি।’ অন্যদিকে, নরওয়ের নোবেল কমিটির প্রধান জাগল্যান্ড সু চিকে বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য মূল্যবান উপহার হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি সু চির উদ্দেশে বলেন, ‘নোবেল কমিটি এত দিন ধরে আপনার প্রতীক্ষায় দিন গুনেছে। গৃহবন্দি হয়ে আপনি হয়ে উঠেছিলেন গোটা বিশ্বের নৈতিকতার কণ্ঠস্বর।’ প্রসঙ্গত: ২০১০ সালে সু চি গৃহবন্দী অবস্থা থেকে মুক্তি পান। বর্তমানে তিনি ইউরোপ সফর করছেন।