প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, ২০০১-০৬ বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে বিএনপি প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক ও তার সহযোগীদের সিন্ডিকেটের কারণে গ্রামের কৃষকরা সার কিনতে পারেনি। ফলে ফসল উৎপাদন কমে যায় এবং তিন থেকে চার কোটি প্রান্তিক কৃষক সারাদিন অনাহারে থাকে। নানা সুবিধা নিয়ে বিএনপি নেতারা কৃষকদের নিঃস্ব করার অপচেষ্টা শুরু করেছিলো। এমনকি বিএনপির দুর্বৃত্তরা ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানা থেকে লাখ লাখ বস্তা সার লুট করেছিলো। টাকা ভাগাভাগি নিয়ে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ছাত্রদলের এক নেতা নিহত হন। রবিবার ভেরিফাইড টুইটারে শেয়ার করা এএলবিডি সাইটের (www.albd.org) একটি নিবন্ধে তিনি এসব কথা বলেন।
পোস্ট করা নিবন্ধে জয় বলেন, সারের অভাবে চাষাবাদ করতে না পেরে সাতক্ষীরা, নড়াইল, মেহেরপুর, খুলনা, রংপুর ও রাজশাহীতে কফিন ও কাফন নিয়ে সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করছিলো কৃষকরা। কিন্তু বিএনপি সরকার তার দলীয় গুন্ডাদের মোতায়েন করে সাধারণ কৃষকদের ওপর অমানবিক নির্যাতন চালায়। কুড়িগ্রাম, জামালপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১২ কৃষককে গুলি করে হত্যা করা হয়। সারের অভাবে বাংলাদেশে বোরো ও ইরি চাষ ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়।
জয় বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর তাদের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিলো কৃষকদের ভাগ্য উন্নয়ন। ২০০৮-০৯ অর্থবছর থেকে এখন পর্যন্ত, সরকার বিভিন্ন কৃষি কর্মসূচিতে ৭৪ লাখ ৫৪ হাজার ৩১৩ জন কৃষকের মধ্যে ৮২৭ কোটি ১৭ লাখ টাকা প্রণোদনা বিতরণ করেছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশে কৃষকদের সাশ্রয়ী মূল্যে সার ও হাইব্রিড বীজ দিতে ২০২১ সালে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয়া হয়েছে। কৃষি উপকরণ সহায়তার জন্য ২ কোটি ৮ লাখ ১৩ হাজার ৪৪ জন কৃষককে স্মার্ট কার্ড দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার কৃষকদের জন্য মাত্র ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলার সুযোগ দিয়েছে। ১ কোটি ১০ লাখেরও বেশি কৃষক এখন এই ব্যাংক পরিষেবাগুলি গ্রহণ করছে৷ কৃষকরা এখন কৃষিকাজের জন্য সুদমুক্ত ও স্বল্প সুদে ঋণ পাচ্ছেন। ফলে প্রান্তিক কৃষকদের ভাগ্যের পরিবর্তন হচ্ছে এবং তাদের আগামী প্রজন্ম শিক্ষার আলোয় আলোকিত হচ্ছে।
সজিব ওয়াজেদ জয় বলেন, দেশের উন্নয়নের সাথে সাথে তাদের জীবনযাত্রার উন্নতি হচ্ছে বলে কৃষকদের আর সার, বীজ ও বিদ্যুতের জন্য আন্দোলন করতে হয় না। বর্তমানে বাংলাদেশ ধান উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ এবং সবজি উৎপাদনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। এমনকি গ্রামের সবচেয়ে দরিদ্র মানুষও আজ খাদ্য ও অন্যান্য মৌলিক চাহিদা নিয়ে উন্নত জীবনযাপন করছে। তাছাড়া করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে সৃষ্ট শ্রমিক সংকট নিরসনে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কৃষকদের সঙ্গে একত্রিত হয়েছেন। সরকার কৃষকদের জন্য বিশেষ অনুদান ও প্রণোদনাও নিশ্চিত করেছে।
জয় বলেন, কৃষকরা হাসলে বাংলাদেশ বাঁচবে। তাই কৃষকদের দিন পরিবর্তনে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখার চেষ্টা করেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। এখন সময় এসেছে ডিজিটালাইজড সুবিধা ব্যবহার করে স্বনির্ভরতা জোরদার করার। দয়া করে সরকারি উদ্যোগের যথাযথ ব্যবহার করুন এবং জয় বাংলা বলুন সমৃদ্ধির পথে।