আর আই মানিক, বার্তা ৭১ ডটকমঃ ২০২০ সালের মার্চের ১১ তারিখ রাজধানীর ইমপালস হাসপাতালের তেজগাঁও সেন্টারে মোমেনা হক মনুর কানের অস্ত্রোপচারে কোন ভুল হয়নি বলে দাবি করেছেন ডাঃ জাহীর আল আমীন। দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, বিএমডিসি গঠিত বিশেষ কমিটি তাঁর ও মোমেনা হক মনুর বক্তব্য না নিয়েই মনগড়া রিপোর্ট দিয়েছেন। যার ভিত্তিতে তাকে ১ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে বিএমডিসি।
অধ্যাপক ডা. জাহীর আল-আমীনের নিবন্ধন এক বছরের জন্য স্থগিত করে গত ১৬ নভেম্বর ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ডা. মো. লিয়াকত হোসেন স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি জারি করে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি)। ভুল চিকিৎসা দেওয়া এবং একজন নারী রোগী মোমেনা হক মুন এর প্রতি অবহেলা দেখানোর জন্য ২০ নভেম্বর থেকে এক বছরের জন্য তাকে বরখাস্ত করা হয়।
ডা. আল-আমীন (বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন নং এ-১২৬৮৮) একজন সিনিয়র চিকিৎসক এবং ইএনটি ও হেড-নেক সার্জারি বিশেষজ্ঞ। এছাড়াও তিনি ঢাকার তেজগাঁওয়ে ইমপালস মেডিকেল সার্ভিসেস অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)। সংশ্লিষ্ট রোগী সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ডা. আল-আমীন জানান, রোগীর ভুল অপারেশন হয়েছে এটা ঠিক নয়। অপারেশন অত্যন্ত সফলভাবে হয়েছে যার প্রমান রোগীর এখন পর্যন্ত যে টিউমারের জন্য অপারেশন করা হয়েছিল তা থেকে মুক্ত আছেন। রোগীর মুখ বেকে যায়নি। বাংলাদেশ বা বিদেশের যে কোন ডাক্তার আমার উপস্থিতিতে পরীক্ষা করে দেখুক। তারা যদি বলে রোগীর মুখ বেকে গেছে সেটা আমি মাথা পেতে নেব। বাকা যদি আমার অদক্ষতার কারণে হয়ে থাকে তার সমস্ত দায়িত্ব আমার। এ ব্যাপারে আপনারা নিজেরাই রোগীর সাথে কথা বলে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।
তিনি সাংবাদিকদের অনুরোদ করে বলেন, আপনারা রোগীর কাছে যান এবং দেখেন তার মুখ বাকা আছে কিনা বা অপারেশন সফল হয়েছে কিনা? এরকম একটা সফল অপারেশনের পরেও আমার বিরুদ্ধে বিএমডিসিতে যে অভিযোগ তা অনাকাঙ্খিত। বিএমডিসি কর্তৃক আমার রেজিস্ট্রেশন ০১ (এক) বছর বাতিল করা এবং পত্রপত্রিকায় ও টেলিভিশনে ডালাওভাবে নিউজ দেওয়ার বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক ও অপমানজনক।