বার্তা৭১ ডটকম: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পর্তুগাল আওয়ামী লীগ এক বিশেষ আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সভাপতি জহিরুল আলম জসিম এবং সঞ্চালনার দায়িত্ব পালন করেন ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দেলওয়ার হোসেন।
সভায় বক্তারা বাঙালি জাতির মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মত্যাগ ও আদর্শের কথা গভীরভাবে স্মরণ করেন। তাঁরা বলেন, বঙ্গবন্ধু মানেই বাংলাদেশ, আর বাংলাদেশ মানেই বঙ্গবন্ধু। বক্তারা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি স্বাধীনতা, আর তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা পাচ্ছি উন্নয়ন ও অগ্রগতি। ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলা হয়, ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রম হানির বিনিময়ে এই স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে। গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরন করা হয় ১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগস্ট পিতা মুজিব সহ স্বপরিবারে নিহত হওয়া তার পরিবারের সকল কে।
সভায় বক্তারা সরকারের ভিশন ২০২১ এবং ভিশন ২০৪১ নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন।
বক্তারা উল্লেখ করে বলেন ভিশন ২০২১ ছিল দেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার পরিকল্পনা। এই পরিকল্পনার মাধ্যমে দারিদ্র্যের হার হ্রাস, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে উন্নয়ন, এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করা হয়েছে। তাঁরা বলেন, শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে এই লক্ষ্যগুলো অনেকটাই অর্জিত হয়েছে।
আলোচনায় পর্তুগাল আওয়ামী লীগ এর সভাপতি জহিরুল আলম জসিম শেখ হাসিনা সরকারের ভিশন ২০৪১-এর গুরুত্ব তুলে ধরেন। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মাধ্যমে উচ্চ আয়ের অর্থনীতি গঠন, উন্নত মানের জীবনযাপন নিশ্চিত করা এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (SDGs) অর্জনের পরিকল্পনা করা হয়েছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ইতিমধ্যে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ সম্পন্ন হয়েছে, যা দেশকে উন্নত বিশ্বের কাতারে নিয়ে যেতে সহায়তা করবে।
আলোচনায় পর্তুগাল আওয়ামী লীগ এর সাধারন সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শেখ হাসিনার উন্নয়নমূলক কার্যক্রম ও তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। তাঁরা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক, সামাজিক ও অবকাঠামোগত ক্ষেত্রে বিপুল উন্নতি সাধন করেছে। বিশেষ করে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর নির্মাণের মতো মেগা প্রকল্পগুলো দেশের উন্নয়নকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
আলোচনা শেষে পর্তুগাল আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা একত্রে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেন।
এই বিশেষ আলোচনা সভায় উপস্থিত নেতারা বঙ্গবন্ধুর অবদান ও বর্তমান সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরেন এবং দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাঁদের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।