আসন্ন পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সম্মেলন: অসাধু কর্মকাণ্ডের ছায়া ও অসাধু কর্মকাণ্ডের বিরোধীতা
বার্তা৭১ ডটকম:পর্তুগাল প্রতিনিধি, ২৫ জুন ২০২৪: পর্তুগাল আওয়ামীলীগ এর আসন্ন সম্মেলনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক আমেজ ও কৌতূহলের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই নিজেদের পর্তুগাল আওয়ামী লীগের কর্মী হিসেবে দাবি করে, কিন্তু তাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক গতিবিধি সংগঠনের ঐক্য ও ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করছে। এ অবস্থায় সংগঠনের ভেতরে ও বাইরে নানা কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে।
বিশ্বাসের সংকট
বিশ্বাস একটি গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান বিষয় যা একবার ভেঙ্গে গেলে সেই সন্দেহের বীজকে শত চেষ্টাতেও উৎপাটন করা যায় না। মুজিব আদর্শে বিশ্বাসী প্রত্যেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করতে পারেন, কিন্তু যদি তাদের কর্মকাণ্ড বিতর্কিত হয়, তাহলে তা সংগঠনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়ে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কর্মীদের কর্মকাণ্ডের সাথে দলের ভাবমূর্তি নিবিড়ভাবে জড়িত।
রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নেতাদের অবস্থান
বর্তমানে, পর্তুগাল আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আসন্ন সম্মেলন সফল করার জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করছেন। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গুজব ও ষড়যন্ত্রের খবর ছড়িয়ে পড়লেও পর্তুগাল আওয়ামী লীগের নেতারা অটল ও অভিন্ন থেকে সংগঠনের স্বার্থে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তাদের মধ্যে কোনো বিভাজন বা প্রতিযোগিতা নেই।
সর্বস্তরের দাবি
পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, যারা পর্তুগাল আওয়ামী লীগকে বিতর্কিত প্রমান করে সংগঠনের রাজনীতি করতে চাইবে, তাদের অতীতের সকল অসাধু, অসামাজিক ও দলের স্বার্থপরিপন্থী কর্মকাণ্ডের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে। তারপরেই তারা নিজেকে জয় বাংলার লোক বা মুজিব সৈনিক দাবি করতে পারবেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আদর্শিক বিষয়ে কোনো বিতর্ক থাকলে তাদের জন্য রাজনীতিতে আসা অত্যন্ত কঠিন হয়ে যায়, কারন তাদের বিভ্রান্তিমূলক কর্মকাণ্ড দলের সকল নেতা কর্মীর মনে সন্দেহের জন্ম দেয় ও অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিন্হিত ও বিবেচিত হয়।
আদর্শিক অবস্থান ও রাজনৈতিক স্বচ্ছতা
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আদর্শিক অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী যদি তাদের অসাধু কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ব্যক্তিগত স্বার্থে কোনো নেতার পকেট ম্যান হয়ে রাজনীতিতে অবস্থান নেওয়া যায় না। সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ে কঠোর হুশিয়ারি দিয়েছেন এবং সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন।
নেতৃত্ব ও কর্মীদের প্রতিশ্রুতি
পর্তুগাল আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা এই সংকট মোকাবেলার জন্য কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তারা বিশ্বাস করেন, সংগঠনের নেতাকর্মীদের ঐক্য ও সজাগ দৃষ্টি চক্রান্ত মোকাবেলায় মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। সম্মেলন নির্বিঘ্নে অনুষ্ঠিত করতে তারা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সতর্কতার আহ্বান
পর্তুগাল আওয়ামী লীগের নেতারা সকল কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা সজাগ থাকেন এবং কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ না হন। দলের আদর্শ ও মূলনীতির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থেকে তারা সম্মেলন সফল করার জন্য সকলকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
অবিশ্বাস ও সন্দেহের মাঝে পর্তুগাল আওয়ামী লীগের সম্মেলন একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। এই সময়ে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে সংগঠনের ভাবমূর্তি রক্ষা করতে হবে। সঠিক নেতৃত্ব ও সতর্কতার মাধ্যমে যে কোনো চক্রান্তের মুখে সম্মেলন সফল করা সম্ভব হবে। পর্তুগাল আওয়ামী লীগ তাদের সম্মেলন নির্বিঘ্নে ও সফলভাবে সম্পন্ন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
উক্ত সম্মেলন কে সফল ও স্বার্থক করে পর্তুগাল আওয়ামীলীগ এর রাজনীতি কে গতিশীল করতে সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামীলীগ এর সভাপতি এম নজরুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক মজিবুর রহমান এবং সম্মেলনে যারা নির্বাচন কমিশনার হয়ে আসবেন সবার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপ আইন সম্পাদক ও তরুন পর্তুগাল আওয়ামীলীগ নেতা এ্যাড মোঃ রাসেল মজুমদার।