বাংলাদেশে পোশাক শ্রমিকদের নিজেদের দাবি-দাওয়া সম্মিলিতভাবে উত্থাপনের সুযোগ না থাকার বিষয়টিতে গুরুত্ব দিয়ে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা বলেছেন, এটাই যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা ও শিল্পোদ্যোক্তাদের উদ্বেগের সবচেয়ে বড় কারণ।
বৃহস্পতিবার ঢাকায় এক ইফতার অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীদের প্রশ্নের জবাবে এই উদ্বেগ তুলে ধরার পাশাপাশি তা প্রশমনে বাংলাদেশের আরো সক্রিয় ভূমিকা প্রত্যাশা করেন তিনি।
পোশাক শিল্পমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আনিসুল হক ও শিল্পোদ্যোক্তা রুবানা হক আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানে যোগ দেন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত।
অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সভাপতি এ কে আজাদ, বিজিএমইএ সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সংসদ সদস্য ইস্রাফিল আলম, ও মো. শাহরিয়ার আলমও উপস্থিত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক পণ্য রপ্তানিতে দ্বিতীয় শীর্ষ দেশ বাংলাদেশকে ক্রেতাদের চাওয়ার দিকে আরো মনোযোগী হতে ড্যান মজিনা পরামর্শ দেন বলে জানান বৈঠকে অংশ নেওয়া একজন।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত শ্রমিকদের মানোন্নয়নে আরো সচেষ্ট হতেও বলেন বলে জানান তিনি।
ইফতার অনুষ্ঠানে ডিসিসিআই সভাপতি আসিফ ইব্রাহিম, বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান সিনহাও ছিলেন। শিল্পোদ্যোক্তারা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সহমত পোষণ করে এইক্ষেত্রগুলোতে ধাপে ধাপে উন্নয়নে তাদের পদক্ষেপ তুলে ধরেন।
ইফতার অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া ওই দুই ব্যক্তিই বলেন, ড্যান মজিনা আলোচনা শেষ করেছেন বাংলাদেশ সম্পর্কে ইতিবাচক মনোভঙ্গী প্রকাশ করে।
“মজিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষ দেশ হওয়ার বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের,” বলেন পোশাক রপ্তানিকারকদের একজন।