ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার আব্দুল হামিদ আর নেই। শনিবার রাজধানীর একটি হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে তার।
আব্দুল হামিদ বেশ কিছুদিন ধরে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। সেখানেই সকাল সাড়ে ৬টায় তার মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছেন তার পুত্রবধূ ইসরাত কাইয়ুম।
কয়েকমাস আগে আব্দুল হামিদের মেরুদণ্ডে টিউমার অপসারণ করা হয়। এরপর থেকেই অসুস্থ ছিলেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
অবস্থা সঙ্কটাপন্ন হওয়ায় শুক্রবার বিকাল থেকেই আব্দুল হামিদকে লাইফ সাপোর্ট রাখা হয়েছিল। এর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তিনি চলে যান না ফেরার দেশে।
দেশে ক্রীড়া ধারাভাষ্যের পুরোধা পুরুষ আব্দুল হামিদ। আর তাই এই অঙ্গনের সবাই তাকে ‘হামিদ ভাই’ নামেই সম্বোধন করতেন।
আব্দুল হামিদ একুশে পদকে সম্মনিত। তিনি সাংবাদিকতায়ও যুক্ত ছিলেন, কাজ করছিলেন আমাদের সময়ে ক্রীড়া সম্পাদক হিসেবে।
আব্দুল হামিদ ভলিবল খেলতেন। কিছুদিনের জন্য তিনি বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) মহাসচিবের দায়িত্বও পালন করেন।
শনিবার জোহরের নামাজের পর গুলশান নিকেতন মসজিদে আব্দুল হামিদের প্রথম জানাজা হবে, দ্বিতীয় জানাজা হবে গেণ্ডারিয়ার ইস্ট এন্ড ক্লাবে, এই ক্লাবের হয়ে খেলতেন তিনি।
ক্রীড়া সাংবাদিক আব্দুল হামিদের তৃতীয় জানাজা হবে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে। এরপর বিকাল সাড়ে ৪টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শেষ জানাজা শেষে তাকে দাফন করা হবে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে।
আব্দুল হামিদের মৃত্যুতে ক্রীড়াঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃত্যুর খবর শুনে সকাল থেকে অনেকে ছুটে যান গুলশান নিকেতনে তার বাসায়।
আব্দুল হামিদ বাংলাদেশ ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগের কর্মকর্তা ছিলেন। তার মৃত্যুতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান শোক প্রকাশ করেছেন।