ঢাকা, ১৫ আগস্ট : বুধবার দিবাগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল কদর বা শবেকদর। ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে লাইলাতুল কদর মহিমান্বিত রাত। এ রাতে ইবাদত করলে হাজার মাসের চেয়ে বেশি ইবাদতের সমান সওয়াব পাওয়া যায়। এ কারণে বিশ্বের মুসলমানদের কাছে সওয়াব হাসিল ও গুণাহ মাফের রাত হিসেবে শবেকদরের ফজিলত অতুলনীয়। এ রাতে পবিত্র কোরআন নাজিল হয় এবং এ রাতকে কেন্দ্র করে ‘আল কদর’ নামে একটি সূরাও অবতীর্ণ হয়।
প্রতিবছরের মতো আবার ফিরে এসেছে কদরের সেই মহিমান্বিত রাত। হাদিসে বর্ণিত আছে, ২০ রমজানের পর যে কোনো বিজোড় রাতে কদর হতে পারে। তবে ২৬ রমজান দিবাগত রাতেই লাইলাতুল কদর আসে বলে বিশেষজ্ঞ আলেমদের অভিমত।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলমানদের মতো বাংলাদেশের মুসলমানেরাও নিজেদের গুণাহ মাফ এবং অধিক সওয়াব হাসিলের আশায় নফল ইবাদত, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির-আজকার আর বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে রাতটি অতিবাহিত করবেন। শবেকদরের পরদিন বৃহস্পতিবার সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এ রাতকে উপলক্ষ করে রাজধানীসহ দেশের সর্বত্রই মসজিদে মসজিদে ওয়াজ মাহফিল ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে। পবিত্র এ রাতে অনেকেই কবরস্থানে গিয়ে স্বজনদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করবেন।