ঢাকা, ২৮ এপ্রিল: আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “জনগণের স্বার্থে যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে সদা প্রস্তুত। মৃত্যুভয় নেই আমার। কোনো হারাবার ভয় আমার নেই।”
তিনি বলেন, “আজকে আমি সব ছেড়ে দিয়ে দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর কন্যা হিসেবে আমার জীবন উৎসর্গ করে দিয়েছি।”
শনিবার বিকেলে সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জাতীয় নাগরিক কমিটি আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশের সমুদ্রজয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণের প্রতি কৃতঞ্জতা জানিয়ে বলেন, “দেশের মানুষ নির্বাচনে ভোট দিয়ে সরকার গঠনের সুযোগ করে দিয়েছিল বলে আজকে আমরা সমুদ্রজয় করতে পেরেছি।”
প্রায় এক লাখ ১১ হাজার বর্গকিলোমিটার সমুদ্রসীমা দেশের নতুন প্রজন্মকে উৎসর্গ করে তিনি বলেন,“সমুদ্রসীমার অগাধ জলরাশি এবং প্রাকৃতিক সম্পদ যেটা পেয়েছি সেটা উৎসর্গ করছি নতুন প্রজন্মের কাছে।”
প্রধানমন্ত্রী সমুদ্রসীমার রায় অর্জনে যারা সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতিও কৃতঞ্জতা জানান।
তিনি বলেন, “দেশের প্রতি কর্তব্যবোধ না থাকলে এই কাজ সকলে করতে চায় না। আমরা ক্ষমতায় থেকে দেশের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করি।”
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা বাবার প্রশংসা করে বলেন,“স্বাধীনতা অর্জনের মাত্র তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধু যে প্রশাসনিক অবকাঠামো গড়ে গিয়েছিলেন আমরা সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে চলেছি।”
শেখ হাসিনা বলেন, “বাঙালি জাতির জীবনে ১৫ আগস্ট যদি না আসতো তাহলে আরো ২০-২৫ বছর আগেই বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতো।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন,“এটি একটি ঐতিহাসিক ক্ষণ। যে সংসদ ভবনের সামনে আমরা গণতন্ত্রের চর্চা করি সেই সংসদ ভবনের সামনে এ ধরনের একটি আয়োজন করায় আমি নাগরিক কমিটিকে ধন্যবাদ জানাই।”
শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের পক্ষে বলেন, “পৃথিবীর সকল দেশে যতো উন্নতি সাধিত হয়েছে তার সবেই করেছে গণতান্ত্রিক সরকার। অসাংবিধানিক কোনো সরকার কখনো দেশের উন্নয়ন করে না।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “২০২১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করা হবে। বাংলাদেশ যেন পৃথিবীতে নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে নিজের সম্পদ নিয়ে মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারে সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।”
নাগরিক কমিটির দেয়া এই সংবর্ধনা দেশের জনগণের প্রতি উৎসর্গ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
৫০১ সদস্যের সমুদ্র জয় উদযাপন জাতীয় নাগরিক কমিটিতে জিল্লুর রহমান সিদ্দিকীর ছাড়াও সাংবাদিক গোলাম সারওয়ার, আবেদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, আইনজীবী আনিসুল হক, ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, বিজিএমইএ-এর সাবেক সভাপতি সালাম মুর্শেদী রয়েছেন।