আওয়ামী লীগের ঘরে জঙ্গি রয়েছে অভিযোগ করে বিরোধীদলীয় নেতা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, আমাকে আর একবার ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ দিন, আমি বাংলাদেশের চেহারা পাল্টে দেব। যদি চেহারা পাল্টাতে না পারি, তবে আপনারা যা শাস্তি দেবেন তা মাথা পেতে নেব।
সোমবার বিকেলে বরিশালের স্থানীয় বেলস্ পার্কে (বঙ্গবন্ধু উদ্যান) স্থানীয় ১৮দলীয় জোট আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
বেগম খালেদা জিয়া বলেন, সরকার হরকাতুল জিহাদের কথা বলে দাড়ি-টুপিওয়ালাদের ওপর নির্যাতন করছে। আওয়ামী লীগের কাছে কোনো ধর্মের মানুষ নিরাপদ নয় বলে দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা জঙ্গিবাদ সন্ত্রাসে বিশ্বাস করি না। সব বড় জঙ্গিদের আমরা ধরেছি। জঙ্গির কথা বলে। এই জঙ্গি কে। শায়খ আবদুর রহমান যুবলীগের মির্জা আযমের আত্মীয়।
বিচার বিভাগ, সেনাবাহিনী, পুলিশ প্রশাসন সর্বত্র সরকার দলীয়করণ করছে উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, পুলিশ ও প্রশাসন নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে পারছে না। ছাত্রলীগের সঙ্গে লুটপাট করতে পুলিশকে বাধ্য করা হচ্ছে। ছাত্রলীগ দানব হয়ে গেছে। অস্ত্র নিয়ে ঘুরলেও তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না।
সম্প্রতি ঢাকার কেরানীগঞ্জে শিশু পরাগ অপহরণের সঙ্গে মন্ত্রীর ভাগ্নে জড়িত রয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
খালেদা জিয়া বলেন, বিগত চার বছরে বরিশালে কোনো উন্নয়ন হয়নি। তিনি বলেন, এ সরকার মিথ্যাবাদী সরকার, তাদের বিশ্বাস করবেন না। এ সরকার চাকরি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল কিন্তু চাকরি দেয়নি। বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় গেলে মানুষের মুখে হাসি ফোটানো হবে উল্লেখ করে খালেদা জিয়া বলেন, দেশ গড়ার জন্য সবার জন্য উন্নয়ন করা হবে।
সুন্দর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করলে আওয়ামী লীগকে প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সব ধর্মের লোকেরা আসুন ১৮দলীয় জোটের সঙ্গে আন্দোলন করুন।
সরকারের বিভিন্ন কর্মকান্ডের সমালোচনা করে বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের আমলে যেসব ঘটনা ঘটছে আজ পর্যন্ত তার কোনো সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি। তিনি বলেন, সরকার গ্যাস-বিদ্যুৎ পানি দিতে পারেনি।
মহাজোট সরকারকে বিশ্বচোর আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, সরকারের দুর্নীতির কারণে পদ্মা সেতু হয়নি। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দুটি পদ্মা সেতু করা হবে।