সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে দুই প্রধান রাজনৈতিক নেত্রী শেখ হাসিনা ও খালেদা জিয়া একসাথে হলেও কোনো কথা হয়নি তাদের মধ্যে। দুই নেতাকে এক অনুষ্ঠানে সচরাচর দেখা না গেলেও দুই বছরের আগের সময়গুলোতে বরাবরই সেনাকুঞ্জের অনুষ্ঠানে এক হতেন তারা।
দুজনে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা ওই অনুষ্ঠানে থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা না করেই অনুষ্ঠানস্থল ছাড়েন বিরোধী দলীয় নেত্রী।
বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠান শুরুর একটু আগেই সেনাকুঞ্জে পৌঁছান বিএনপি চেয়ারপারসন। ঠিক ৪টার সময় পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে শহীদ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মরণ করেন। সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে আওয়ামী লীগ সরকারের পদক্ষেপগুলোও তুলে ধরেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সময় খালেদা জিয়া অতিথি মঞ্চে স্পিকার আবদুল হামিদের সঙ্গে বসেছিলেন। তাকে স্পিকারের সঙ্গে কথাও বলতে দেখা যায়। তবে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর অন্য সবাই হাততালি দিলেও খালেদা জিয়াকে তা করতে দেখা যায়নি।
বিরোধী দলীয় নেতার সঙ্গে কী কথা হয়েছে- পরে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে স্পিকার বলেন, ‘আমি বিরোধী দলীয় নেতাকে সংসদে আসতে অনুরোধ করেছি। তিনি বলেছেন, বিবেচনা করে দেখবেন।’
খালেদা জিয়া শামিয়ানায় গিয়ে বসলেও সেখানে বসে থাকা মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, জাতীয় সংসদের হুইপ এবং কূটনীতিক ও দাতা সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলেননি।
সেনাকুঞ্জ চত্বরে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য এবং তাদের স্ত্রীর সঙ্গে কুশল বিনিময় করে খালেদা জিয়া পুনরায় শামিয়ানার দিকে এগোতে দেখা যায়, তখন সেখানে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এক পর্যায়ে সামিয়ানার নিচে না ঢুকে বিএনপি চেয়ারপারসনকে ঘুরে আবার অতিথিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় অব্যাহত রাখতে দেখা যায়।
এরপর প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা না করেই পৌনে ৫টার দিকে বিরোধীদলীয় নেতা অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গেও দেখা হয়নি তার। প্রধানমন্ত্রী ৫টার কিছু সময় পর পর্যন্ত অনুষ্ঠানস্থলে ছিলেন।
খালেদা জিয়া যতক্ষণ সেনাকুঞ্জে ছিলেন, ততক্ষণ তার সঙ্গে ছিলেন নৌ-বাহিনীর একজন নারী কর্মকর্তা। তিনি খালেদা জিয়ার ডানহাত ধরে তাকে হাঁটতে সাহায্য করেন।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে সেনাকুঞ্জে আসেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান সোহেলসহ বিরোধীদলীয় নেতার ব্যক্তিগত কর্মকর্তারা।