ঢাকা: বিরোধী দলের অবরোধ কর্মসূচির মধ্যে পুরান ঢাকার জজ কোর্ট এলাকায় বিরোধী দল ও সরকার সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার পর গণপিটুনিতে বিশ্বজিৎ দাস নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।
রোববার বেলা সাড়ে ৯টা দিকে রাজধানীর সূত্রাপুর থানায় বাহাদুরশাহ পার্কের সামনে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। বিশ্বজিতের ঘনিষ্ঠজনেরা তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীতে ছাত্রলীগ ও ১৮ দলীয় জোট নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, প্রথমে ছাত্রলীগের একটি মিছিলে হামলা চালায় ছাত্রদলসহ ১৮ দলীয় জোটের লোকজন। পরে ছাত্রলীগ তাদের ধাওয়া দেয়। এতে টেইলর ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাস দুই গ্রুপের মাঝখানে আটকে পড়েন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপি-জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা সকালে জজ কোর্টের ভেতরে অবরোধের সমর্থনে মিছিল শুরু করলে জগন্নাথ কলেজ ছাত্রলীগের কর্মীরা পাল্টা মিছিল নিয়ে ওই এলাকায় চক্কর দিতে থাকে। এক পর্যায়ে সেখানে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয় এবং কয়েকটি হাতবোমায় বিস্ফোরণ ঘটে।
এদিকে, সূত্র জানিয়েছে, বিশ্বজিৎ দাস ছাত্রলীগের সঙ্গে অবরোধবিরোধী মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। ছাত্রদলের কর্মীরা তাকে কুপিয়ে জখম করে। পরে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়। বিশ্বজিতের লাশ মিটফোর্ট মর্গে রাখা হয়েছে।
বিশ্বজিত (২৫) রাজধানীর শাঁখারিবাজার এলাকায় একটি দর্জির দোকান চালাতেন।। তিনি থাকতেন ৫৩ ঋষিকেশ দাস লেনে। তার বড় ভাই উত্তম দাস, বাবা অনন্ত দাস।