বার্তা৭১ডটকম : আজ ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে দখলদার পাকহানাদার বাহিনী ও তার এদেশীয় দোসর, রাজাকার, আলবদর, আলশামস তথা স্বাধীনতা বিরোধী চক্র মিলিতভাবে বাংলা মায়ের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের নির্মমভাবে হত্যা করে। পাকিস্তানি ঔপনিবেশিক দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে নয় মাসের মরণপণ রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে বাংলার মুক্তিকামী মানুষ যখন হাজার বছরের পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিন্ন করে চূড়ান্ত বিজয়ের লগ্নে উপস্থিত হয়েছিল তখনই বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার হীন উদ্দেশ্যে মানবতার বিরুদ্ধে তারা এই ঘৃণ্য হত্যাকা- সংঘটিত করে।দিনটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি প্রতিবারের ন্যায় এবারও নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
এই দিনে সূর্যোদয় ক্ষণে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে, বঙ্গবন্ধু ভবন ও দেশব্যাপী সংগঠনের কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন এবং জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ; সকাল আটটায় মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন;
সকাল সাড়ে আটটায় বঙ্গবন্ধু ভবনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন; সকাল নয়টায় রায়ের বাজার বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ; বিকেল তিনটায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আলোচনা সভা।
এদিকে বিএনপি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে দলটির উদ্যোগে ১৪ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেল তিনটায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা সভায় বিএনপি’র জাতীয় নেতাসহ দেশের বরেণ্য ব্যক্তিরা আলোচনা করবেন।
দিবসটি উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এক বাণীতে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসরদের হাতে শাহাদৎ বরণকারী শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
তিনি বলেন, ১৪ ডিসেম্বর একটি বেদনাময় দিন। বাংলাদেশকে মেধা মননে পঙ্গু করার হীন উদ্দেশ্যে স্বাধীনতার ঊষালগ্নে এ দিনে হানাদার বাহিনীর দোসররা দেশের প্রথিতযশা শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক বিজ্ঞানীসহ বিশিষ্ট বুদ্ধজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করোছিলো। ওরা ভেবেছিলো জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করলেই এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব দুর্বল হয়ে পড়বে এবং উন্নয়ন অগ্রগতি রুদ্ধ করে দেয়া যাবে। কিন্তু তাদের সে লক্ষ্য ব্যর্থ হয়েছে।