বার্তা৭১ ডটকমঃ: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিরোধীদলীয় নেত্রী চায় না দেশের মানুষ শিক্ষিত হোক। আওয়ামী লীগ যতবার ক্ষমতায় এসেছে দেশে শিক্ষিত লোকের হার বেড়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্য কমেছে। আমরা যদি ৫ বছরে শতকরা বিশ ভাগ শিক্ষিতের হার বাড়াতে পারি উনারা পারেন না কেন। আমরা চাই শিক্ষিত হয়ে দেশের প্রতিটি ছেলে-মেয়ে দেশের মান বাড়াক। কারণ শিক্ষিত জাতি ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।
মঙ্গলবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত মাইজদীর হাউজিং মাঠে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে দেশের মানুষ সুখে থাকে। মানুষ শান্তিতে ঘুমায়। অপরদিকে বিরোধী দল ক্ষমতায় আসলে দেশে অশান্তি দেখা দেয়। দেশে সুদ, ঘুষ, দুর্নীতি ও রাহাজানি বাড়ে।
তিনি বলেন, নোয়াখালীর চরাঞ্চলে দস্যু নির্মূলে সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিয়েছে। যেখানে আগে দস্যুদের অভয়ারণ্য ছিল। সেখানে মানুষ এখন শন্তিতে বসবাস করছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় থাকাকালে শিক্ষার্থীদের হাতে মোবাইল তুলে দিয়ে ছিলাম। এবার দিয়েছি ল্যাপটপ।
আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়ার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে বিগত চার বছরে কয়েকটি সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়নে নির্বাচন হয়েছে। কোন কারচুপির অভিযোগ আসেনি। জনগণ যে রায় দিয়েছে আমরা তাই মেনে নিয়েছি। আগামী নির্বাচনেও তাই হবে। কারণ আমরা বিশ্বাস করি ভোটের মালিক জনগণ। ভবিষ্যতে কাউকে কেন্দ্র দখল আর ভোট কারচুপির সুযোগ দেয়া হবে না।
তিনি বলেন, অনেকে মনে করেছিল, বাংলাদেশ আর মাথাউঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না। কিন্তু আমরা ঠিকই পেরেছি। আমাদের অর্থনীতি আজ মজবুত। দেশে রেমিট্যান্স বেড়েছে। প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। আপনারা আমাদের সাথে থাকলে ইনশাআল্লাহ আগামী ২০২১ সালের মধ্যে আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে পারবো।
প্রধানমন্ত্রী আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, আমার দেশে কেউ নেই। আমার পিতা দেশের মানুষের জন্য প্রাণ দিয়েছেন। তার স্বপ্ন ছিল দেশের মানুষ সুখে থাকবে। আমিও উনার মতো চাই আপনারা সুখে থাকেন, শান্তিতে থাকেন। এজন্য আওয়ামী লীগকে আরেকবার ভোট দিয়ে দেশের সেবা করার সুযোগ দেয়ার জন্য তিনি উপস্থিত জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি খায়রুল আনাম সেলিমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যোগাযোমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নোয়াখালী সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বেগমগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্যাহ প্রমুখ।
এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে এসে ডিজিটাল পদ্ধতিতে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী পৌর এলাকার মীরওয়ারিশপুরে নির্মিত নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নিজস্ব ভবন, কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ক্লোজার, কবিরহাটের সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্র, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০তলা নতুন ভবন, কবিরহাট উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন, সদর উপজেলা কমপ্লেঙ ভবন, সোনাইমুড়ী উপজেলা কমপ্লেঙ ভবন, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ও নোয়াখালী পৌরসভা কমপ্লেঙ ভবন উদ্বোধন করেন।