বার্তা৭১ ডটকমঃ এতোদিন সালাহউদ্দিন আহমেদের খোঁজ পাওয়ার পর কোন রহস্য উন্মচিত না হলেও এবার সেই রহস্যের জট খুলতে শুরু করেছ। বাংলাদেশে দু’মাসের বেশি সময় ধরে নিখোঁজ সালাহউদ্দিন আহমেদকে শিলংয়ে খুঁজে পাওয়ার পর এই প্রথম তার নিজস্ব বয়ানে কোন তথ্য জানা গেল। সালাহউদ্দিন আহমেদ পুরনো হৃদরোগের কথা বলেছেন। তাই সেদিকেই নজর বেশি দিচ্ছি। কিডনিরও সমস্যা রয়েছে। কিন্তু কথাবার্তায় অসংলগ্ন কিছু লক্ষ্য করিনি। সেরকম হলে তো আমিই মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাকতাম।
ডা. ডি জে গোস্বামী জানান, সালাহউদ্দিন আহমেদের কাছে কিছু ওষুধ পাওয়া গিয়েছিল। যেগুলো বাংলাদেশের কোন ওষুধ কোম্পানির তৈরি বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ এসব ওষুধের স্ট্রিপে বাংলা লেখা ছিল। ভারতে তৈরি ওষুধের স্ট্রিপে বাংলা লেখা থাকে না। ডি জে গোস্বামী বিবিসিকে আরও জানান, সালাহউদ্দিন আহমেদ হৃদরোগ এবং প্রোস্টেটের জটিলতায় ভুগছেন। তার সঙ্গে পাওয়া ওষুধগুলো মূলত এসব রোগের।
এদিকে হাসপাতালে বন্দি বাংলাদেশের বিএনপি নেতা ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সালাহউদ্দিন আহমেদকে পুলিশ কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন। মেঘালয় পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের দুজন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার দুপুরে হাসপাতালের প্রিজন ওয়ার্ডে সালাহউদ্দীন আহমেদকে প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে তারা কি জানতে পেরেছেন তা প্রকাশ করেননি।
ওদিকে হুমায়ুন রশিদ নামে একজন জানিয়েছেন, তিনি সালাহউদ্দিন আহমেদের কাজিন। সালাউদ্দীন আহমেদের সঙ্গে তাদেরকে দেখা করার অনুমতি দিয়েছিলেন শিলং পুলিশের এসপি। কিন্তু পরে সেই অনুমতি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। দেখা করতে না পেরে তারা ফিরে যান। এছাড়া বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক আবদুল লতিফ জনি ও স্বপন নামে দুইজন সালাহউদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে শিলংয়ে পৌঁছেছেন।
বাংলাদেশে দুমাসের বেশি সময় ধরে নিখোঁজ সালাহ উদ্দিন আহমেদকে শিলং এ খুঁজে পাওয়ার পর এই প্রথম তার নিজস্ব বয়ানে কোন তথ্য জানা গেল। শিলং পুলিশ গত কদিন ধরে তাকে কঠোর পাহারার মধ্যে রেখেছে। এমনকি যেসব ডাক্তার, নার্স সালাহ উদ্দিন আহমেদকে দেখেছেন, তারাও মিস্টার আহমেদের স্বাস্থ্য ছাড়া অন্য কোন বিষয়ে কোন তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানাচ্ছেন।
তবে শিলং এর একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ডি জে গোস্বামী জানিয়েছেন, সালাহউদ্দীন আহমেদের কাছে কিছু ওষুধ পাওয়া গিয়েছিল, যেগুলো বাংলাদেশের কোন ওষুধ কোম্পানির তৈরি বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ এসব ওষুধের স্ট্রীপে বাংলা লেখা ছিল। ভারতে তৈরি ওষুধের স্ট্রীপে বাংলা লেখা থাকে না। ডাক্তার ডি জে গোস্বামী জানান, সালাহ উদ্দিন আহমেদ হৃদরোগে এবং প্রোস্টেটের জটিলতায় ভুগছেন। তার সঙ্গে পাওয়া ওষুধগুলো মূলত এসব রোগের।
সালাহ উদ্দিন আহমেদর সঙ্গে দেখা করতে তার পরিবারের সদস্যরা বৃহস্পতিবার শিলং এ পৌঁছান। এদের একজন হুমায়ুন রশিদ জানিয়েছেন, তিনি সালাহ উদ্দিন আহমেদের কাজিন। সালাহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে তাদেরকে দেখা করার অনুমতি দিয়েছিলেন শিলং এর পুলিশের এসপি। কিন্তু পরে সেই অনুমতি প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। দেখা করতে না পেরে তারা ফিরে যান।
আবদুল লতিফ জনি এবং স্বপন নামে বিএনপির দুজন নেতাও শিলং এ পৌঁছেছেন। এছাড়া ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলং এর একটি হাসপাতালে বন্দী বাংলাদেশের বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদকে পুলিশ কর্মকর্তারা জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন।
শিলং থেকে বিবিসি বাংলার অমিতাভ ভট্টশালী বিবিসিকে জানান, মেঘালয় পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের দুজন কর্মকর্তা হাসপাতালের প্রিজন ওয়ার্ডে দুপুরে প্রায় দু ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদে তারা কি জানতে পেরেছেন তা প্রকাশ করেন নি।-বিবিসি –