বার্তা৭১ ডটকমঃ ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ মাহফুজ আল হাসানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শনিবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুস সাত্তার এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে ওই শিক্ষককে কেন স্থায়ী বহিষ্কার (চাকরিচ্যুত) করা হবে না তার কারণ দর্শানোর জন্য সাত দিনের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর অভিযোগ, ২০১৩ সালে পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের শিক্ষক সৈয়দ মাহফুজ আল হাসান তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। রাজি না হলে তাকে ফেল করানোর ভয় দেখান। বিয়ে ও প্রশ্ন দেওয়ার কথা বলে দীর্ঘ দুই বছর তাকে ধর্ষণ করেন। পরে ছাত্রী বিয়ের জন্য চাপ দিলে শিক্ষক তাতে রাজি হননি। এ ঘটনায় তিনি প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দেন। পরে গত সপ্তাহে তিনি কোতয়ালী থানায় মামলা করেন। ইতোমধ্যে ওই ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইঞ্জিনিয়ার আহসান হাবীব জানান, পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের এক ছাত্রী মে মাসে উপাচার্যের কাছে সহকারী অধ্যাপক সৈয়দ মাহফুজের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনেন। এরপর তিনি গত ১৯ জুন একই অভিযোগে যশোর কোতয়ালী থানায় মামলা করেন।
তিনি আরো জানান, বিষয়টি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার উপাচার্য সভা আহ্বান করেন। সভায় আইন উপদেষ্টাদের পরামর্শে উপাচার্য নিজ ক্ষমতাবলে অভিযুক্ত শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করেন।
এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটিকে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন উপাচার্য।