বার্তা৭১ ডটকমঃ স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, বর্তমান সংবিধান অনুযায়ীই আগামী নির্বাচন হবে। এ জন্য নতুন করে সংবিধান সংশোধনেরও সম্ভাবনা নেই জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি গত নির্বাচনের মতো আগামী নির্বাচনও যদি বয়কট করে তাহলে বাংলাদেশে তাদের অস্তিত্ব থাকবে না।
বুধবার দুপুরে নিজ জেলা কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার সকল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে নব-নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের পরিচিতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সৈয়দ আশরাফ এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন বয়কট গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থার অংশ নয়। নির্বাচন বয়কট করলে কিছু আসে যায় না। যারা নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে না, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একমাত্র মুক্তিযুদ্ধের সময় নির্বাচন ছাড়া আওয়ামী লীগ কোন নির্বাচনই বয়কট করেনি। এর আগে ৫৪ সালের নির্বাচন, বুনিয়াদী গণতন্ত্রের নির্বাচন, ৬২ এবং ৬৮-র নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ অংশ নিয়েছিল। তখন বঙ্গবন্ধুকে অনেকেই বলেছিলেন, আপনি কেন এই নির্বাচনে অংশ নিলেন? বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, নির্বাচন শুধু জয়লাভ করার জন্য নয়। আমরা নির্বাচনে অংশ নিয়েছি তার কারণ হল জনগণের কাছে পৌঁছানোর জন্য।
সৈয়দ আশরাফ বলেন, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থায় এক বা দুই মেয়াদের সরকারের পক্ষে উন্নয়ন করা অনেক কঠিন। তবে আওয়ামী লীগ সরকার দেশে গণতান্ত্রিক শাসন প্রতিষ্ঠার সঙ্গে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখবে।
নির্বাচনে অংশগ্রহণ করাই গণতন্ত্রের প্রথম পদক্ষেপ উল্লেখ করে সৈয়দ আশরাফ বলেন, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি ভুল করেছে। তার মতে, কোনো ক্ষেত্রেই নির্বাচন বয়কট করা সঠিক সিদ্ধান্ত নয়।
গত নির্বাচনে অংশ নিতে বেগম খালেদা জিয়াকে কোনো বাধা দেওয়া হয়নি উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন রাখেন, কেনো তিনি নির্বাচন করলেন না?
সৈয়দ আশরাফ বলেন, চীন এক দলীয় শাসনের অধীনে ব্যাপক উন্নতি করেছে। আগামী কয়েক দশকে তারা হয়তো পৃথিবীর সব দেশকে ছাড়িয়ে যাবে। তবে তাদের যে পলিটিক্যাল সিস্টেম তা গণতান্ত্রিক নয়। দেশের গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেওয়াসহ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখব, এটা জননেত্রী শেখ হাসিনার ভিশন।