বার্তা৭১ ডটকমঃ
মেয়েদের খাৎনা; যাকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘এফজিএম’ বা ফিমেল জেনিটাল মিউটিলেশন। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে ‘এফজিএম’ করানো হয়েছে এমন জীবিত নারীর সংখ্যা ২০ কোটির বেশি। অনেক আফ্রিকান দেশেই এটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে সিয়েরা লিওনে এখনো এটি চালু আছে।
সিয়েরা লিওনের মেয়েদের খৎনা করিয়ে থাকেন এমনই একজন নারী ‘হাজাম’ মেমিনাতু তুর। তিনি সেখানকার শত শত মেয়ের এফজিএম করিয়েছেন।
এফজিএম নিষিদ্ধ করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যদি সরকার এই প্রথা নিষিদ্ধ করে তাহলে আমরা প্রেসিডেন্টের অফিসে জোর করে ঢুকে তার প্রতিবাদ করব। তারা জানে যে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহ্য। তাছাড়া সরকারের অনেকেই আমাদের গোপন সংগঠনে আছে।’
সিয়েরা লিওনের সংখ্যাগরিষ্ঠ মেয়েরই এফজিএম হয়েছে। কিন্তু এটা যে একটি নিন্দিত বা যন্ত্রণাদায়ক প্রথা বা এতে যে মেয়েদের মৃত্যুও হয়ে থাকে- এগুলো মানতে নারাজ ৫৬ বছর বয়স্কা মোমিনাতু।
তিনি বলেন, ‘এগুলো সব মিথ্যে কথা। এটি মেয়েদের জন্য ভালো। যে মেয়ের খৎনা করানো হয়নি- সে এক পুরুষে সন্তুষ্ট থাকতে পারে না। কিন্তু এটা করানো হয়েছে এমন মেয়েরা তাদের দাম্পত্য জীবনে সন্তুষ্ট থাকে। একটি মাত্র পুরুষের সাথে সারা জীবন থাকে।’
কিন্তু এফজিএম করানো হয়েছে এমন মেয়েরা অনেকেই পরবর্তী জীবনে তাদের যন্ত্রণা, ও কষ্টের কথা বলেছেন। তবে ফ্রিটাউনের এক বস্তিতে তার ঘরে ঝোলানো নিজের মেয়ের ছবি দেখিয়ে মেমিনাতু বলেন, ‘আমার মেয়ের এই অপারেশন করানো হয়েছে। কিন্তু সে তো ভালো আছে, কলেজে পড়ছে। আমরা মেয়েদের ব্যথা দিই না, এটি একটি মহান এবং প্রাচীন ঐতিহ্য।’
প্রতি খৎনা থেকে তিনি পান ১৮০ ডলারের মতো। কিন্তু সিয়েরা লিওনের সরকার যদি সত্যি এ প্রথা নিষিদ্ধ করে দেয় তাহলে তিনি কি করবেন? এমন প্রশ্নের উত্তরে দীর্ঘশ্বাস ফেলে মেমিনাতু বলেন, ‘তাহলে সরকারের আমাদের করার মতো একটা কিছু কাজের সুযোগ করে দিতে হবে।’ সূত্র: বিবিসি