বার্তা৭১ ডটকমঃ
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ঢাকা সেনানিবাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে বলেন ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস আর বিকৃত করা যাবে না’। সোমবার সকাল ১০টার দিকে ঢাকা সেনানিবাসে তিনি এ বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘৭০জন খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা দেশের ৪২২ উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হবে।’
এর আগে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার সকাল ৮টার দিকে মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি এই শ্রদ্ধা জানানো হয়।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পর সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ এবং বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে দেয়া বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নেতৃত্বের প্রতি পরিপূর্ণ অনুগত থেকে কঠোর অনুশীলন, পেশাগত দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে তাদের গৌরব সমুন্নত রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে এক স্মরণীয় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে তিন বাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর ওপর সর্বাত্মক আক্রমণ পরিচালনা করে। ফলশ্রুতিতে আমাদের কাঙ্ক্ষিত বিজয় অর্জন ত্বরান্বিত হয়। ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ আমরা বিজয় অর্জন করি।’
দিবস উপলক্ষে তিনি সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এছাড়া তিনি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য শাহাদতবরণকারী মুক্তিযোদ্ধাসহ সশস্ত্র বাহিনীর বীর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং যুদ্ধাহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে সরকারের ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ এর কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমার বিশ্বাস এসব কর্মসূচি সশস্ত্র বাহিনীকে আরো আধুনিক, দক্ষ ও গতিশীল করবে। যে কোনো বাহিনীর উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো নেতৃত্বের প্রতি গভীর আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধাবোধ, কর্তব্যপরায়ণতা, পেশাগত দক্ষতা এবং সর্বোপরি শৃঙ্খলা।’
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্য দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব এবং উন্নত নৈতিকতার আদর্শে স্ব স্ব দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে যাবেন বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আমাদের সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন।’
প্রধানমন্ত্রী সশস্ত্র বাহিনী দিবস-২০১৬ উপলক্ষে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।