বার্তা৭১ ডটকমঃ
আইএস’র অনুমোদন দিয়েছেন জঙ্গি তামিম চৌধুরী। সম্প্রতি এমন খবর বিদেশী গণমাধ্যমগুলোতে প্রকাশ পেলেও এ ব্যাপারে কিছুই জানে না বাংলাদেশের পুলিশ।
শনিবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের সদর দফতরে ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড কর্তৃক ডিএমপিকে গাড়ি কেনা বাবদ ২ কোটি টাকার চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
তিনি বলেন, বিদেশী গণমাধ্যমে আইএস’র অনুমোদন সংক্রান্ত সংবাদে যে বিষয়টি বলা হয়েছে তা নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। তবে এখনো পর্যন্ত এ ব্যাপারে কিছু পাওয়া যায়নি।
গুলশানের ‘হলি আর্টিসান’ হামলার পর থেকেই পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, পুলিশ দেশের মানুষের নিরাপত্তার জন্য সর্বদা কাজ করছে। বর্তমানে যে কোন ধরনের হামলা মোকাবেল করাও সম্ভব বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, অনেক জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়াও নব্য জঙ্গি নেতাদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যহত রয়েছে।
পুলিশ কমিশনার বলেন, ডিএমপিকে আমরা জনমূখী করেছে। থানা পুলিশের সেবার মান অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। সেবার মান বৃদ্ধি করতে হলে দরকার উন্নত প্রশিক্ষণ, আর্থিক সাপোর্ট ও দৃঢ় মনোবল। সামাজিক দায়বদ্ধতার কারণে অনেকে ডিএমপির পাশে থেকে ডিএমপির সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে। সম্মানিত নাগরিকদের নিরাপত্তা, আইন শৃংখলা ও সন্ত্রাসদমনে আমাদের ডিএমপির ফোর্স ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে।
অনুষ্ঠানে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের আইডল হিসেবে আমরা ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডকে জানি। আজ তারা যে দুই কোটি টাকার আর্থিক অনুদান আমাদের দিয়েছে , সে টাকা ডিএমপি কাউন্টার টেরোরিজম বিভাগের উন্নয়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষে ব্যয় করা হবে। ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড (ডিবিবিএল) এর সাথে ডিএমপির অংশীদারিত্ব অনেক পুরাতন। ডিএমপির সার্বিক উন্নয়নে সব সময় ডিবিবিএলকে আমরা পাশে পেয়েছি।
চেক প্রদান অনুষ্ঠানে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক এর চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সাথে আমরা অতীতেও যেমন ছিলাম বর্তমানেও পাশে থাকবো। ডিএমপি যেভাবে কাজ করে যাচ্ছে তা অত্যন্ত প্রশাংসনীয় ও গৌরবময়। ডিএমপির সার্বিক কর্মকাণ্ডে আমরা অত্যন্ত খুশি। আমরা আশা করি ডিএমপি তার এই ধারাবাহিক সাফল্য ধরে রাখবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডাচ্-বাংলা ব্যাংক লিমিটেড এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর এ কে এম শিরিন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) মো. শাহাব উদ্দিন কোরেশী, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটি) মো. মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।