বার্তা৭১ ডটকমঃ
জিয়াউর রহমান আদর্শিক মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না বলে মন্তব্য করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বৃহস্পতিবার সংসদ অধিবেশনে হাবিবুর রহমান মোল্লার এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
মোজাম্মেল হক বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময়ে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ২৭ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন। তিনি একজন সেক্টর কমান্ডার ছিলেন। জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ সরকারের অধীনে যুদ্ধ না করে ওয়ার কাউন্সিল গঠন করে মুক্তিযুদ্ধ করার প্রস্তাব করায় মুক্তিযুদ্ধের প্রধান সেনাপতি এম এ জি ওসমানী তাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছিলেন। পরে জিয়া ক্ষমা প্রার্থনা করে পুনরায় সেক্টর কমান্ডারের দায়িত্ব নেন।
তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ে জিয়া খুনি খন্দকার মোশতাকের দোসর হিসেবে আলাদা কনফেডারেশন গঠনের চক্রান্তে জড়িত ছিলেন। ১৯৭৫ সালের বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিদেশের দূতাবাসের চাকরি দিয়েছিলেন। এই খুনিদের বিচার বন্ধের আইন করেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শাহ আজিজকে প্রধানমন্ত্রী, যুদ্ধাপরাধী আবদুল আলীমসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের মন্ত্রিসভায় স্থান দিয়ে এবং ধর্মভিত্তিক রাজনীতি চালু করে প্রমাণ করেছেন যে তিনি প্রকৃতপক্ষে একজন আদর্শিক মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন না।
সংসদ সদস্য লায়লা আরজুমান বানুর প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, সরকার মুক্তিযুদ্ধে নিহত ভারতীয় সৈনিকদের পরিবারকে পুরস্কৃত করার উদ্যোগ নিয়েছে।
মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকার সাধারণ মুক্তিযোদ্ধাদের সরকারিভাবে পরিচয়পত্র দেয়ার চিন্তাভাবনা করছে। ইতিমধ্যে যুদ্ধাহত ও খেতাব পাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের পরিচয়পত্র দেয়া হয়েছে।
প্রশ্নোত্তর পর্বের আগে বিকেল ৪টার পর স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।