নিখোঁজ এম ইলিয়াস আলীর মোবাইল নম্বর থেকে কল পাওয়ার দাবি সিলেটের বিশ্বনাথের এক যুবদল নেতা করলেও র্যাব বলছে, বিএনপি নেতার ফোনটি নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে বন্ধই রয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে র্যাবের পরিচালক (ইন্টেলিজেন্স) জিয়াউল আহসান বার্তা ৭১ কে বলেন, “পুরো খবরটি ভিত্তিহীন। প্রথমে ঘটনাটি জানার পর গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত শুরু করি।
“কিন্তু তদন্তে দেখা যায়, ইলিয়াস আলীর উল্লেখিত মোবাইল নম্বর থেকে ঘটনার রাত ১২টা ২ মিনিটের পর আর কোনো ফোন আসেওনি, যায়ওনি। অর্থাৎ মোবাইলটি বন্ধ।”
র্যাব কর্মকর্তারা এর আগে জানিয়েছিলেন, সর্বশেষ গত ১৭ এপ্রিল ঢাকার ইস্কাটন-বাংলা মটর এলাকায় ইলিয়াসের মোবাইল ফোনের অবস্থান সনাক্ত করতে পেরেছেন তারা।
এর আগে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল লতিফ বার্তা ৭১ কে বলেন, বিকাল ৪টা ৪৮ মিনিটে ইলিয়াসের নম্বর থেকে তার ফোনে কল আসে।
তিনি বলেন, ওই সময় অন্য একটি নম্বরে কথা বলায় তিনি ইলিয়াসের কলটি ধরতে পারেননি। পরে ‘মিসডকল’ দেখে কল করে নম্বরটি বন্ধ পান।
২২ দিন আগে ইলিয়াস নিখোঁজ হওয়ার সময় থেকে তার নম্বরটি (০১৭৩২২৯৩৭৪৪) বন্ধ রয়েছে। এই নম্বর থেকেই কল এসেছে বলে দাবি করেন লতিফ।
এরপর বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শামসুদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, তিনি ৫টা ২৫ মিনিটে কল করে ইলিয়াসের মোবাইল নম্বরটি খোলা পান। তবে কয়েকবার রিং হওয়ার পর তা বন্ধ হয়ে যায়।
ইলিয়াস নিখোঁজের পর বিএনপির ডাকা হরতালে বিশ্বনাথে ব্যাপক সংঘাত ঘটে। এতে পুলিশের করা মামলায় লতিফ ও শামসুদ্দিনও আসামি। দুজনের একজনও বিশ্বনাথে অবস্থান করছেন না।
র্যাব কর্মকর্তা জিয়াউল বলেন, “এরা দুজনই মামলার পলাতক আসামি। ফোন পাওয়ার ঘটনার পেছনে তাদের অন্য উদ্দেশ্য থাকতে পারে।”
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ইলিয়াস গত ১৭ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে নিখোঁজ। বনানীতে তার বাড়ির কাছে মহাখালীর একটি গলিতে গভীর রাতে তার গাড়ি পাওয়া যায়। তবে পাওয়া যায়নি ইলিয়াস এবং তার গাড়িচালক আনসার আলীকে।
গাড়িতে পাওয়া আনসারের ফোন থেকে গাড়িটি ইলিয়াসের বলে নিশ্চিত হওয়া যায় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ইলিয়াসের সন্ধানে ঢাকা, গাজীপুরের পূবাইল, চাঁদপুরসহ কয়েকটি স্থানে অভিযান চালালেও পাওয়া যায়নি বিএনপি নেতাকে।