গাজীপুর : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আবারও জোর দিয়ে বলেছেন, তত্ত্বাবধায়কের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে।
শনিবার বিকেলে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ঘাগটিয়া চালা ওয়েল ফেয়ার ক্লাব মাঠে আয়োজিত জনসভায় দেওয়া প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। শেয়ারবাজারের লুট করা টাকা নতুন অনুমোদিত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অন্যতম পুঁজির উৎস বলে মনে করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়া আরও বলেন, এ সরকার বাইরের দেশ থেখে ঋণ নিচ্ছে। আবার দেশের মধ্যে নতুন নতুন ব্যাংক খুলছে। এসব ব্যাংকের টাকা কোথা থেকে আসছে। আসলে শেয়ারবাজারের লুট করা টাকায়ই এসব ব্যাংক হচ্ছে। আগামীতে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এসব টাকার হিসাব চাইবে। এ সময় সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন গড়ারও আহবান জানান তিনি।
খালেদা জিয়া নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে সরকারের সমালোচনা প্রসঙ্গে বলেছেন, তারা ড. ইউনূসকে নিয়ে কটাক্ষ করেছে। তারা কাউকে সম্মান দিতে জানে না। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়া বলেন, স্বাধীনতার পর ২১ বছর জনগণ তাদের ভোট দেয়নি। এদেশের মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে ক্ষমা চেয়ে তারা ক্ষমতায় এসেছে। তারা যেভাবে মামলা-গুম-খুন শুরু করেছে, আগামী ৪২ বছর তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে না। মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি করায় সরকারের সমালোচনা করেন তিনি। বিদ্যুৎ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কুইক রেন্টালের নামে সরকার বিদ্যুতের লুটপাট শুরু করেছে। সাধারণ মানুষকে বিদ্যুৎ দিতে পারছে না। ঘরে ঘরে লোডশেডিং চলছে। এই সরকার দুর্নীতির সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। সাগর-রুনি হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে
পারেনি। তাদের মূল কাজ হচ্ছে হত্যা, গুম, খুন। ক্ষমতায় আসার আগে কৃষককে বিনামূলে সার দেওয়ার কথা বললেও এখন সারের দাম তিনগুণ। শিল্পকারখানায় বিদ্যুৎ না দেওয়ার সিদ্ধান্তের কারণে এখন লাখো শ্রমিক জীবিকার হুমকির মুখে পড়েছে।
পদ্মা সেতুর দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর অর্থায়ন দুর্নীতির কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রীর পরিবারের লোকজন পদ্মা সেতু দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। বিশ্বব্যাংক তো দূরের কথা জাপানও এ কারণে টাকা দেবে না বলে সরকারকে জানিয়েছে। বিএনপির ক্ষমতায় এলে আগামীতে মাওয়া ও পাটুরিয়ায় দুটি সেতু করা হবে। হত্যা-গুম-সন্ত্রাসের রাজনীতি বন্ধ করা হবে।