বার্তা৭১ ডটকমঃ শীতকালীন সবজির মৌসুম শেষের দিকে হওয়ায় কয়েক সপ্তাহ ধরে কাঁচাবাজারে দামের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এছাড়া আসন্ন রমজান মাসকে কেন্দ্র করে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় মসলা ও মাংসের দাম।
দফায় দফায় দাম বৃদ্ধির কারণে নাজেহাল ক্রেতারা, পাশাপাশি বিক্রি করতে গিয়ে অতিরিক্ত দাম হাকাহাকির কারণে বিরক্ত বিক্রেতারাও।
শুক্রবার ( ৯ মার্চ) রাজধানীর মিরপুর-১, শেওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, কাওরান বাজার, মতিঝিল, সেগুনবাগিচা, পল্টন এলাকার বাজারগুলোতে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় এ চিত্র।
সবজির বাজারে পাইকারি ব্যবসায়ীদের দাবি, সবজির চালান এখন কমে গেছে। শীতকালীন সবজি এখনও বাজারে যা পাওয়া যাচ্ছে তা গোডাউনে সংরক্ষিত। আর অল্প কিছু আসছে মাঠ থেকে। তবে নতুন সবজির ফলন হওয়ার আগ পর্যন্ত দাম কমবে না। এছাড়া হুট করেই তাপমাত্রা অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় ট্রাকে আনার সময়েই অনেক সবজি পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
আবার রমজানকে কেন্দ্র করে এখন থেকেই কিছুটা দাম বাড়া শুরু করেছে বলেও জানিয়েছেন কাওরান বাজার ও মিরপুর-১ এর পাইকারি সবজি বিক্রেতারা।
মসলাসহ মাংসের বাজারে দাম বাড়ার একমাত্র কারণ রমজান মাস বলে জানিয়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা। সেগুনবাগিচা কাঁচাবাজারের মাংস বিক্রেতা হানিফ বাংলানিউজকে জানান, এখন থেকেই অনেকে মাংস কিনে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করছেন। বাজারে চাহিদা এ কয়েক সপ্তাহে অনেক বেড়ে গেছে।
এছাড়া সপ্তাহের অন্যান্য দিনের চেয়ে শুক্রবারে দাম বেশি থাকে। এর মধ্যে রমজানের পর ছাড়া দাম কমার সম্ভাবনা একেবারেই নেই।
মাছের বাজারমিরপুরের মসলার খুচরা বিক্রেতারা জানান, বাজারে মসলার আমদানি কমে গেছে। রমজানের জন্য মসলার আমদানিকারকরা মসলা আনলেও গুদামজাত করে রাখছেন। এ কারণে খুচরা বাজারে দাম এখন অল্প অল্প করে বাড়ছে। রমজানের আগ দিয়ে যখন গুদামজাত মসলাগুলো ছাড়া হবে তখন হুট করেই দাম অনেক বেড়ে যাবে।
রাজধানীর বাজারগুলো ঘুরে সর্বশেষ খুচরা মূল্য অনুযায়ী নাজিরশাইল চাল ৭২, মিনিকেট ৬২ থেকে ৬৫, জিরাশাইল ৬০,