বার্তা৭১ ডটকমঃ জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে হাজার হাজার নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। দেশটিতে ধর্ষণকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে সরকারি বাহিনী প্রধানত দায়ী হলেও বিরোধীরাও ক্ষেত্রবিশেষে এ অপরাধে জড়িয়েছে।
সিরিয়ায় যুদ্ধের বিভিন্ন পক্ষ অব্যাহতভাবে ভয়াবহ এ ধর্ষণকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। এসব কর্মকাণ্ডকে মানবতাবিরোধী অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা যায় বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।
ধর্ষণের শিকার নারী-শিশু, তাদের আত্মীয়স্বজন, প্রত্যক্ষদর্শী, আইনজীবী ও চিকিৎসকদের সঙ্গে ৪৫৪টি সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করেছেন জাতিসংঘের কমিশন অব ইনকয়ারির তদন্তকারীরা। ২৯ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি বৃহস্পতিবার প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে জাতিসংঘ তদন্তকারীরা বলেন, অসংখ্য নারী-শিশু-কিশোরী এমনকি ছেলেদেরকে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতন করেছে সিরিয়ার সরকারি ও মিত্রবাহিনী। সরকারবিরোধী গোষ্ঠীকে শাস্তি প্রদানের লক্ষ্যে ধর্ষণকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে তারা।
গত প্রায় ৮ বছরের যুদ্ধে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোও যৌন নির্যাতন চালিয়েছে। তবে সরকারি বাহিনীর তুলনায় তাদের নির্যাতনের মাত্রা কম।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গৃহযুদ্ধের শুরুর দিকে বাড়ি তল্লাশিকালে এবং স্থল অভিযানের সময় অসংখ্য বেসামরিক নারী-পুরুষকে ধর্ষণ করেছে সরকারি বাহিনী। পরে সেনা চৌকি ও বিভিন্ন আটক কেন্দ্রে নিয়ে তাদেরকে ধর্ষণ করা হয়।
সিরিয়ার সরকারের সামরিক ও বেসামরিক মিলিয়ে অন্তত ২০টি আস্তানা নারী ও মেয়ে শিশুদের ধর্ষণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া পুরুষ ও বালকদের ধর্ষণের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে প্রায় ১৫টি আস্তানা।