বার্তা৭১ ডটকমঃ কাঠমান্ডুতে প্লেন বিধ্বস্তে নিহত বাংলাদেশিদের মধ্যে ২৩ জনের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা সম্পন্ন হবে ঢাকার আর্মি স্টেডিয়ামে। সেখানে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৯ মার্চ) সকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম বাংলানিউজকে বলেন, নিহত ২৩ জনের মরদেহ বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বিশেষ প্লেনে বিকেল ৩টায় ঢাকায় আনা হবে। ৪টায় আর্মি স্টেডিয়ামে সম্পন্ন হবে তাদের নামাজে জানাজা। এতে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জানা যায়, জানাজার পর নিহতদের মরদেহ তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
গত ১২ মার্চ ত্রিভুবন বিমানবন্দরে অবতরণকালে বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট। এতে নিহত হন ৪৯ জন। যাদের মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি। ময়না-তদন্ত সাপেক্ষে এদের মধ্যে ২৩ জনের মরদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। অবশিষ্ট তিন মরদেহ শনাক্ত করারও প্রক্রিয়া চলছে।
যে ২৩ জনের মরদেহ দেশে আনা হচ্ছে, তারা হলেন- উম্মে সালমা, আঁখি মনি, বেগম নুরুন্নাহার ও শারমিন আক্তার, নাজিয়া আফরিন ও এফ এইচ প্রিয়ক, -বিলকিস আরা, আখতারা বেগম, মো. রকিবুল হাসান, মো. হাসান ইমাম, মিনহাজ বিন নাসির, তামারা প্রিয়ন্ময়ী, মো. মতিউর রহমান, এস এম মাহমুদুর রহমান, তাহারা তানভীন শশী রেজা, অনিরুদ্ধ জামান, রফিক উজ জামান এবং পাইলট আবিদ সুলতান, কো-পাইলট পৃথুলা রশিদ, খাজা সাইফুল্লাহ, ফয়সাল, সানজিদা ও নুরুজ্জামান।
যে তিন বাংলাদেশির মরদেহ শনাক্ত করা যায়নি, তারা হলেন- নজরুল ইসলাম, পিয়াস রয় ও আলিফুজ্জামান। তাদের ডিএনএ পরীক্ষা করতে হবে।
মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনায় আহত হন ১০ বাংলাদেশি। এদের মধ্যে ডা. রেজওয়ানুল হক শাওন ও ইমরানা কবির হাসি নামে দু’জনকে সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঢাকায় আনা হয়েছে শাহীন ব্যাপারি, মেহেদী হাসান, তার স্ত্রী কামরুন নাহার স্বর্ণা, আলমুন নাহার অ্যানি, শেহরিন ও শেখ রাশেদ রুবায়েতকে। বাকি দু’জনের মধ্যে ইয়াকুব আলীকে দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে। কবির হোসেন নামে অপর যাত্রীকে