ঢাকা, ১৩ মে: আজ ‘বিশ্ব মা দিবস’। পৃথিবীর সবচেয়ে শ্রদ্ধা এবং অকৃত্রিম ভালোবাসার সম্পদ এই মাকে সম্মান জানাতেই বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও আজ পালিত হচ্ছে বিশ্ব মা দিবস।
‘মা ও মাতৃত্বের প্রতি সম্মান এবং সমাজে মায়েদের প্রভাব’ এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে এবারের বিশ্ব মা দিবস উদযাপিত হচ্ছে।
বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে মার্চ, এপ্রিল অথবা মে মাসে ভিন্ন ভিন্ন দিনে এ দিবসটি উদযাপিত হয়।
বাংলাদেশে প্রতিবছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার এ দিবসটি উদযাপিত হয়ে থাকে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি ও আর্থ-সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে র্যালি, আলোচনা সভা, সংবর্ধনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
এদিকে দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। অপরদিকে স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেলগুলো মা দিবস উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে।
এছাড়াও এ দিবসে মায়েদের গিফট দেয়ার চাহিদাকে বিবেচনায় রেখে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজ বিশেষ ধরনের শাড়ি বাজারজাত করেছে।
বাংলাদেশ শিল্প-সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক পরিষদ বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে রোববার জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে কবি কুসুম কুমারী ও কবি সুফিয়া কামালের ওপর আলোচনা সভার আয়োজন করেছে।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, মা দিবসের উত্পত্তি প্রাচীন গ্রিসে। আদি পর্বে গ্রিক সভ্যতায় ধর্মীয় উত্সব হিসেবে প্রতি বসন্তে নানা আয়োজনের মাধ্যমে ‘মাদার অব গড’ নামে বিশেষ একটি দিন উদযাপন করা হতো। তবে ধর্মীয় উত্সব থেকে মা দিবস সামাজিক উত্সবে পরিণত হয় ষোড়শ শতাব্দীতে। সে সময় আমেরিকায় মায়েদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে ‘মাদারিং সানডে’ নামে একটি বিশেষ দিন উদযাপন করা হতো। ক্রমে সীমানা ছাড়িয়ে মা দিবসকে সর্বজনীন করে তোলেন জুলিয়া ওয়ার্ড নামে এক আমেরিকান।
মা দিবসে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেয়ার লক্ষ্যে ১৯৭২ সালে তিনি ব্যাপক লেখালেখি শুরু করেন। তবে দিবসটিকে একটি জাতীয় উৎসবে পরিণত করতে বড় ভূমিকা রাখে আমেরিকার আরেক নারী অ্যানা জার্ভিস। ১৯০৭ সালে মা দিবসকে স্বীকৃতি দিতে ব্যাপক প্রচার চালান তিনি। ওই বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার নিজের মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে তিনি ‘মা দিবস’ পালন করেন। পরের বছর ওই দিনটিকে পুরো ফিলাডেলফিয়া অঙ্গরাজ্যে বিশাল আয়োজনে পালিত হয় ‘মা দিবস’। অবশেষে ১৯১১ সালের মে মাসের দ্বিতীয় রোববার আমেরিকাজুড়ে পালিত হয় ‘মা দিবস’