ভারতের একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) পরিচালিত শিশু আশ্রয়কেন্দ্রে শিশুদের দিয়ে যৌন ব্যবসার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব শিশুদের যৌন নিপীড়ন, মারধর, উত্ত্যক্ত করা এবং নির্মাণাধীন ভবনে জোরপূর্বক শ্রমিক হিসেবে কাজ করানো অভিযোগ উঠেছে। ভারতের ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রোটেকশন অব চাইল্ড রাইটস এক অভিযান চালিয়ে বিষয়টি উদঘাটন করেছে।গত বুধবার রাতে ‘ভারত বিকাশ সংঘ’ নামের এনজিও পরিচালত একটি শিশু আশ্রয়কেন্দ্রে অভিযান চালানো হয়। এরপর ভোক্তভোগী শিশুরা তাদের দুঃসহ অবস্থা তুলে ধরে। সংস্থাটি নারীর ক্ষমতায়নের জন্য ‘হরিয়ানা স্টেট’ পুরষ্কার পেয়েছিল।
১০ বছরের বেশি বয়সী ১২ জন মেয়ে শিশু জানায়, সংস্থাটির মালিক যশবন্তী অর্থ উপার্জনের জন্য তাদের ওপর নির্যাতন চালাতো। তাদের একজন বলে, তাকে একজন পুরুষের সাথে থাকতে বাধ্য করা হয়েছিল।
ভোক্তভোগী এসব মেয়ে শিশু বলে, ‘আমার অনেক পুরুষ কর্তৃক যৌন হয়রানির শিকার হয়েছি। কেউ এর প্রতিবাদ করলে তাকে নগ্ন করে হাঁটতে বাধ্য করা হতো। যশবন্তী আমাদের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করতো এবং আমাদের মজুরি ছিনিয়ে নিতো।’
এদিকে, শিশু নির্যাতনের ঘটনায় রোহটাক শিশু আশ্রয়কেন্দ্রের পরিচালক যশবন্তী দেবী ও তার জামাতা জয় ভগবানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জয় ভগবানের বিরুদ্ধে শিশুদের যৌন হয়রানি ও উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ মামলা হয়েছে।
উদ্ধার হওয়া শিশুদের একজন বলে, ‘আশ্রয়কেন্দ্রের শিশুদের কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে তিন থেকে চার দিন না খাইয়ে আটকে রাখা হতো। তিনি (যশবন্তী) তার জন্য অর্থ রোজগারে তাদের বাধ্য করতো।’
তিন শিশু পালিয়ে গিয়ে দিল্লিতে নিজেদের পরিবারের কাছে গিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরার পর ওই তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। গুরগাঁওয়ের একটি এতিমাখানায় যৌন নিপীড়নের অভিযোগ ওঠার পর এসব মেয়ে শিশুকে রোহটাক হোমে স্থানান্তর করা হয়েছিল।
সূত্র: দ্যা টাইমস অব ইন্ডিয়া অনলাইন।