গাড়ি চালানোর সময় একটি গাড়ির ওপর নিজের গাড়ি উঠিয়ে দিয়েছিলেন ফিলিপাইনের এক নারী। এজন্য তাকে জরিমানা করেন ৩০ বছর বয়সী এক ট্রাফিক পুলিশ। জরিমানা করে তা ধরিয়ে দেন ওই নারীর হাতে। সঙ্গে সঙ্গে কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলেন- এই জরিমানা ও বিচার থেকে তোমাকে রেহাই দিতে পারি তুমি যদি আমাকে চুমু দাও এবং আমার গাড়ির ভিতর আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হও। এ ঘটনা ঘটেছে দুবাইয়ে। গতকাল এ খবর প্রকাশ করেছে অনলাইন খালিজ টাইমস। এতে জানানো হয়, ওই ঘটনায় আদালতে মামলা চলছে। অভিযোগকারী ওই নারী ৪০ বছর বয়সী। তিনি একজন ম্যানেজারও। তিনি প্রসিকিউটরদের বলেছেন, তিনি গত মার্চে ওউদ মেথা পার্কিং থেকে বের হওয়ার সময় অন্য একটি গাড়িতে নিজের গাড়ি দিয়ে ধাক্কা দিয়েছেন। এতে সেই গাড়িটির সামান্য ক্ষতি হয়েছে। এ সময় ওই পুলিশ কর্মকর্তা সেখানে হাজির হন এবং তাকে বলেন যে, তিনি খুব সুন্দরী। তাকে ১০০০ থেকে ৫০০০ দিরহাম জরিমানা করা হবে এবং তিনি ১০টি ব্লাক পয়েন্ট পাবেন। এ সময় ওই পুলিশ কর্মকর্তা তাকে প্রতিশ্রুতি দেন- তিনি তার জরিমানা ও ব্লাক পয়েন্ট কমিয়ে দিতে পারেন। একথা বলেই তিনি ওই নারীকে তার মোবাইল নম্বর দিয়ে দেন। এরপর ওই পুলিশ কর্মকর্তা তাকে অনেকবার ফোন করেছেন এবং প্রতিবারই আপত্তিকর কথাবার্তা বলেছেন। তিনি ওই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। জবাবে ওই নারী তাকে জানান, তিনি বিবাহিত এবং দুবাইয়ে তার পরিবার রয়েছে। জবাবে ওই পুলিশ বলেন, তার পরিবার রয়েছে ওমানে। এ পর্যায়ে তিনি ওই নারীর সঙ্গে দেখা করতে চান। কিন্তু অনেকদিনই ওই নারী তার এই আগ্রহে সাড়া দেননি। তিনি প্রতিবারই তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। এর পরও তিনি নিবৃত্ত না হলে তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেন। জেনারেল ডাইরেক্টরেট অব ক্রিমিনাল এভিডেন্স তাকে প্রস্তাব দেয় ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে হাতেনাতে ধরার জন্য তাদের সাহায্য করতে। এর প্রায় ১ সপ্তাহ পরে ফের ওই পুলিশ কর্মকর্তা ওই নারীকে ফোন করেন। এ সময় ওই পুলিশের বক্তব্য তিনি রেকর্ড করেন। তারা এ সময় পুলিশের প্রস্তাব অনুযায়ী বুর্জ দুবাইয়ের পার্কিং এলাকায় তার গাড়ির ভিতর শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে সম্মত হয়। আমিরাতের পুলিশের এক লেফটেন্যান্ট বলেছেন, তারা এ রহস্য উদ্ধারের জন্য একটি ফাঁদ পাতেন। ওই নারীকে একদিন রাত সাড়ে ১০টায় পরিকল্পিত স্থানে পাঠিয়ে দেন একটি গাড়িতে করে। তাকে গাড়িতে অবস্থানকালে এর দরজা খোলা রাখতে বলেন। আরও বলেন, যদি ওই লোক আপনাকে হঠাৎই আক্রমণ করে তাহলে দৌড়ে বেরিয়ে আসবেন। সত্যি সত্যি অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা মনোরঞ্জনের জন্য ওই নারীর কাছে যায়। তার সঙ্গে আলাপচারিতা শুরু করে। এরই মধ্যে চারদিকে পেতে রাখা পুলিশি ফাঁদ তাকে জেঁকে ধরে। হাতেনাতে ধরা পড়ে নারীলোভী ওই পুলিশ। এরপর সে পুলিশের কাছে স্বীকার করে যে, গাড়ির ওই মহিলা তার প্রেমিকা। কিন্তু ততক্ষণে পরিষ্কার হয়ে গেছে।