স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে: তেরখাদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মামুন-অর-রশীদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার বিকালে থানার পার্শ্ববর্তী সরকারি কোয়ার্টারে ওই ঘটনা ঘটে। গতকাল ওই গৃহবধূ ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থায় অভিযোগ করেন। উপজেলার কাটেংগা গ্রামের ওই গৃহবধূ তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল সংক্রান্ত একটি অভিযোগ নিয়ে মামলা করার জন্য মঙ্গলবার বিকালে থানায় যান। ওই সময় ওসি মামুন তার কক্ষের বাইরে বসেছিল। গৃহবধূর সঙ্গে কথা বলার একপর্যায়ে শহীদুল নামে এক ব্যক্তি তাকে ৩টি মাছ ও একটি মুরগি ঘুষ দিতে আসে। এ সময় ওসি ওই গৃহবধূকে ছোট বোন সম্বোধন করে মাছগুলো কেটে দিতে বলে। গৃহবধূ রুমের বাইরে বসে মাছ কাটতে চাইলেও মামুন তাকে ভিতরে যেতে অনুরোধ করে। মাছ কাটা শেষ হলে তাকে জোর করে বিছানায় নিয়ে ধর্ষণ করে। এ সময় অনেক ধস্তাধস্তি করেও তিনি রেহাই পাননি। এদিকে ওই গৃহবধূর থানায় এসে কক্ষে প্রবেশ এবং কোয়ার্টারে দীর্ঘ দু’ঘণ্টা অবস্থানের বিষয়টি থানার একাধিক স্টাফ ও বহিরাগতদের মধ্যে সন্দেহের জন্ম দেয়। পরে সন্ধ্যায় গৃহবধূ বাসা থেকে বের হয়ে বাইরে উপস্থিত অনেকের কাছে ঘটনাটি বলে কেঁদে ফেলেন।
গতকাল ওই গৃহবধূ ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার দ্বারস্থ হন। বিষয়টির ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নিতে সংস্থাটি তাদের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন জেলা কো-অর্ডিনেটর এডভোকেট মোমিনুল ইসলাম।
গৃহবধূ জানান, সরল বিশ্বাসে মামুনের বাসায় ঢুকে মাছ কাটা শুরু করি। এ সময় ওসি বলে, তার কথা শুনলে মামলা নেয়া হবে, কোন অভাব থাকবে না, সবকিছুর দায়িত্ব নেয়া হবে। এছাড়া সে তাকে বিভিন্ন প্রস্তাব দেয়। কিন্তু এসব প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় বিছানায় নিয়ে ধর্ষণ করে। হাত-পায়ে ধরে ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করেও রেহাই দেয়নি। এ ব্যাপারে অভিযোগ অস্বীকার করে ওসি মামুন বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে ঘুষ নেয়া মাছ কাকে দিয়ে কাটিয়েছেন জানতে চাইলে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। শুধু বলতে থাকেন, কার কাছে শুনেছেন, কে বলেছে ইত্যাদি।