সরকারকে আরও সময় দিলেন বিরোধী নেতা খালেদা জিয়া। নয়া পল্টনের সমাবেশ থেকে সময় দেয়ার পাশাপাশি সরকারকে হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, ঈদের আগে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের স্বার্থে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল, ইলিয়াস আলীসহ নিখোঁজ নেতাদের ফেরত ও কারাবন্দি নেতাদের মামলা প্রত্যাহারসহ মুক্তি দেয়া না হলে ঈদের পর হরতাল-অবরোধসহ সব ধরনের কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল ইস্যুতে ১২ই মার্চের ঢাকা মহাসমাবেশ থেকে সরকারের উদ্দেশে ৯০ দিনের আলটিমেটাম দিয়েছিল বিরোধী দল। তবে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী নিখোঁজের ঘটনায় হঠাৎ করে রাজপথের আন্দোলনে মুখর হয়েছিল বিরোধী জোট। টানা হরতালে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সামনে গাড়ি পোড়ানো ও সচিবালয়ে ককটেল বিস্ফোরণ মামলায় জোটের অর্ধশতাধিক কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে মামলা এবং ৩৩ নেতাকে কারাগারে পাঠায় সরকার। এরপর রাজনৈতিক মহলে ধারণা করা হচ্ছিল হরতাল-অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচির দিকেই যাচ্ছে বিরোধী দল। তবে জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে সে পথে যাননি তারা। দাবি পূরণে সরকারকে আরও সময় দিয়ে ঈদ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। বিকাল ৬টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী বক্তব্যে তিনি প্রধানমন্ত্রীসহ সরকারের দুর্নীতি, ব্যর্থতা ও অযোগ্যতার সমালোচনা করেন। সে সঙ্গে আগামীতে জনগণের ভোটে ক্ষমতায় গেলে বিএনপি কি কি করবে তার কয়েকটি প্রতিশ্রুতিও দেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পুনর্বহাল, নিখোঁজ নেতাদের ফেরত এবং কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে আগামী মধ্য জুলাই পর্যন্ত সারা দেশে জেলা থেকে থানা পর্যায়ে ধারাবাহিক বিক্ষোভ সমাবেশ, স্মারকলিপি দান ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচির ঘোষণা দেন। খালেদা জিয়া বলেন, আমাদের আন্দোলনের লক্ষ্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন নিশ্চিত করা। কোন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে না, হতে দেয়া হবে না। তিনি সরকারের উদ্দেশে বলেন, জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে আমরা আরও সময় দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আপনার তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহালের মাধ্যমে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করুন। নইলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে পতন ঘটানো হবে। এদিকে কেন্দ্রীয় নেতারা কারাবন্দি থাকায় সমাবেশের প্রস্তুতিতে ছিল ঘাটতি। শেষ মুহূর্তে সমাবেশের অনুমতি দিলেও ঢাকামুখী লঞ্চ ও বাস চলাচলে অঘোষিত নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল সরকার। তারপরও বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করে সারা দেশ থেকে রাজধানীতে ছুটে আসে বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নয়া পল্টনসহ আশপাশের এলাকা পরিণত হয় জনসমুদ্রে।
সমাবেশে আগামী দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে খালেদা জিয়া বলেন, সামনে রমজান এবং ঈদ। তাই জনগণের সমস্যার কথা বিবেচনা করে আমরা আমাদের কর্মসূচি ঠিক করেছি। আমাদের দাবি হলো তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা, পুনর্বহাল, গ্যাস-বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান, ইলিয়াস আলীসহ নিখোঁজ ব্যক্তিদের ফিরিয়ে দেয়া এবং গুম-হত্যা বন্ধ করা, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর অত্যাচার-নির্যাতন বন্ধ করা এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করা। এসব দাবিতে আগামী ১৫ই জুলাই পর্যন্ত সারা দেশে উপজেলা, জেলা এবং বিভাগীয় পর্যায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ এবং স্মারকলিপি প্রদান করা হবে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১৭ই জুন সারা দেশে সমাবেশ ও বিক্ষোভ, ২৪শে জুন সব জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ ও সমাবেশ, ১লা জুলাই মহানগর, জেলা, উপজেলা ও পৌর শহরে সমাবেশ ও বিক্ষোভ সমাবেশ, ৮ই জুলাই মহানগর ও জেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি প্রদান এবং ১৫ই জুলাই সারা দেশে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল। কর্মসূচি ঘোষণা করে খালেদা জিয়া বলেন, ঈদের আগে সরকার এসব দাবি না মানলে ঈদের পর থেকে হরতাল, অবরোধ এবং ধর্মঘটের মতো কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেন, আপনি বারবার পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসার কথা বলেন। বিএনপি ও খালেদা জিয়া কখনও পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসেনি। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েই বারবার ক্ষমতায় এসেছে। বরং, আপনারাই পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। যারা আসে তাদের সমর্থন দিয়েছেন। এরশাদকে দিয়েছেন, মইন-ফখরুদ্দীনকেও সমর্থন দিয়ে বলেছেন তাদের সকল কর্মকাণ্ডের বৈধতা দেবেন। আর নির্বাচিত সরকারকে বলেছেন এক সেকেন্ডও শান্তিতে থাকতে দেবেন না। টেনেহিঁচড়ে নামাবেন। ১৮ দলের গণসমাবেশে বিরোধী নেতা খালেদা জিয়া সরকারের প্রতি প্রশ্ন রেখে বলেছেন, বিরোধী দল হরতাল দিলে আপনারা বলেন- দেশের ক্ষতি হয়। কিন্তু বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বানচাল করতে আপনারা তিন দিন গাড়ি বন্ধ রেখে অঘোষিত হরতাল করেন। এতে দেশের ক্ষতি হয় না? মানুষের কষ্ট হয় না? এভাবে হরতাল করে মানুষকে বাধা দিয়ে কি বিরোধী দলের সমাবেশ বানচাল করতে পেরেছেন? সরকার নেতা-কর্মীদের বাধা দিয়ে, লঞ্চ-বাস বন্ধ করে দিয়ে আমাদের সমাবেশকে বানচাল করতে পারেনি। সমাবেশ সফল হয়েছে। কিন্তু জনগণকে কেন সরকারের এত ভয়? কারণ, তারা সাড়ে তিন বছরে জনগণের জন্য কিছু করতে পারেনি।
তিনি বলেন, সরকার সংবিধান সংশোধন করে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করেছে। সরকারকেই সেটা পুনর্বহালের পদক্ষেপ নিতে হবে। নইলে আন্দোলন চলতে থাকবে। সংবিধান আগেও ছিল। তখন কেন বলা হয়েছিল বিএনপির অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না? ১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়কের দাবিতে আওয়ামী লীগ আন্দোলনের নামে নৈরাজ্য করেছিল। সেদিন তারা জামায়াতকে সঙ্গে নিয়েছিল। এখন কেন জামায়াত খারাপ হয়ে গেল? তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে জামায়াত কিন্তু এখনও তাদের আগের অবস্থানে অটল আছে। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, জনগণের প্রতি আস্থা থাকে তবে আসুন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করুন। আমরা সমানে সমানে খেলব। জনগণ কাকে নির্বাচিত করে দেখা যাক। তবে পরিষ্কার বলতে চাই, আগামী জাতীয় নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে। নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে বর্তমান সরকারকে এক মুহূর্তের জন্য ক্ষমতায় থাকতে দেয়া হবে না।
খালেদা জিয়া বলেন, সরকার দেশে একটি নতুন রাস্তা ও ব্রিজ করতে পারেনি। আগেরগুলো মেরামত করতে পারেনি। কারণ, প্রধানমন্ত্রী ও তার পরিবারসহ সরকারের সর্বমহল দুর্নীতি করছে। দেশের মানুষ দু’বেলা খেতে পায় না। কিন্তু তারা বস্তা বস্তা টাকা বানাচ্ছেন। সাড়ে তিন বছরে দেশে বিদেশী কোন বিনিয়োগ হয়নি। দেশী শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। সরকারের নির্দেশে কলকারখানা ১২ ঘণ্টা বন্ধ রাখা হচ্ছে। সিএনজি স্টেশন বন্ধ থাকে। কিভাবে উৎপাদন হবে? ফ্ল্যাট তৈরি করে লোকজন বসে আছে। সরকার বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ দিতে পারছে না। দেশে বিদ্যুৎ নাই, পানি নাই, গ্যাস নাই, শুধু নাই নাই। কোটি কোটি টাকা খরচ করছেন। কিন্তু মানুষ বিদ্যুৎ পায় না। চেহারা দেখে কুইক রেন্টাল দিয়েছে সরকার। কিন্তু বিদ্যুতের কোন উন্নতি নেই। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন বন্ধ করেছে। একে একে জাইকা, এডিবি বন্ধ করেছে। কিন্তু সরকার বিশ্বব্যাংকের সে অভিযোগের ভিত্তিতে কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এখন বিদেশীরা বলছে, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হলে কোন সাহায্য ও ঋণ দেবে না। তবে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে পদ্মা সেতু। একটি নয় দু’টি হবে। বিরোধী নেতা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আত্মীয়কে আর্থিকভাবে সুবিধা দেয়ার জন্য সাহারাকে ডেকে আনা হয়েছে। সাহারা-টাহারা কাউকে দেয়া যাবে না। দেশে অনেক কোম্পানি আছে যারা বিনিয়োগ করতে পারবে। তাই এ দেশে সাহারাকে এক ইঞ্চি জমিও দেয়া হবে না। দেশের মানুষ সেটা করতে দেবে না।
তিনি বলেন, সরকার এখন বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মী ও সাংবাদিকদের টার্গেট করেছে? আমরা জানতে চাই সাগর-রুনিকে কেন হত্যা করা হলো? তারা অপরাধ বা অন্যায় করলে অনেক শাস্তি আছে। তাদের হত্যা করা হলো কেন? সাগর-রুনির কাছে সরকারের এমন তথ্য ছিল যা তারা প্রচার করতে চেয়েছিল। যেই টেলিভিশনে তা প্রচার করতে চেয়েছিল সেই টেলিভিশনের মালিক সরকারের প্রিয় লোক। তাই বুঝতে পারছেন যারাই সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলবে তাকে হয় হত্যা করবে আর না হয় জেলে দেবে। খালেদা জিয়া বলেন, ইলিয়াস আলীকে গুম করেছে সরকার। এভাবে আমাদের অনেক নেতা-কর্মীকে গুম করেছে। প্রতিদিনই এখানে সেখানে লাশ পাওয়া যাচ্ছে। এটাই আওয়ামী লীগের চরিত্র। তাদের সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মকে জানতে হবে। আগে তারা রক্ষীবাহিনী দিয়ে বিরোধীদলের নেতা-কর্মীদের হত্যা করতো এখন আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী দিয়ে করছে।
খালেদা জিয়া বলেন, আমরা রাজনৈতিক দল হলেও প্রধানমন্ত্রী আমাদের সঙ্গে আলাপ করতে রাজি হন না। কিন্তু তিনি খুনিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পিলখানার হত্যাকারীদের নিয়ে লাঞ্চ করেছেন। তাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছেন। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর তো সে ক্ষমতা নেই। পরে পিলখানায় অনেক বিডিআর সদস্যকে হত্যা করে আত্মহত্যার নামে চালানো হয়েছে। আর আসল খুনিরা দেশের বাইরে চলে গেছে। তবে ভবিষ্যতে এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার করা হবে। তিনি বলেন, এখন দেশে গণতন্ত্র নেই। আইনের শাসন নেই। স্পিকারকে রাষ্ট্রদ্রোহী বলা হচ্ছে। সংসদে এমপিদের কথার মূল্য দেয়া হচ্ছে না। সম্মানিত মানুষদের ডেকে নিয়ে অসম্মান করা হচ্ছে।
অন্য নেতারা যা বলেন-
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলাম বলেছেন, আমরা শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছি। প্রশাসনকেও বারবার এ কথা বলেছিলাম। চারবার প্রশাসনের কাছে আমাদের সংসদ সদস্যরা গিয়েছেন। ৪ দিন পর তারা প্রথমে মৌখিক অনুমোদন দিয়ে পরে লিখিত অনুমোদন দিয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ এমপি বলেছেন, আশা করেছিলাম বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবসহ সব কারাবন্দি নেতা এ সমাবেশে যোগদান করবেন। কিন্তু সরকারের সরাসরি হস্তক্ষেপে উচ্চ আদালতে জামিন পেয়েও নেতারা মুক্তি পাননি। আমরা আগেই বলেছিলাম, এ মামলা মিথ্যা মামলা। উচ্চ আদালতেও তা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাদের জামিন দিয়েছেন। কিন্তু সরকার তাদের মুক্তি দেয়নি।’ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহালে খালেদা জিয়া সরকারকে ৯০ দিনের সময় দিয়েছিলেন। সরকার নিজের ভুলের কারণে শান্তিপূর্ণভাবে তা মেনে নিতে ব্যর্থ হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগেরই ক্ষতি হবে, বিএনপির কোন ক্ষতি হবে না। স্বাধীনতার ৪১ বছরে যে নজির সৃষ্টি হয়নি, আওয়ামী লীগ এক সঙ্গে বিরোধী দলের ৩৩ জন সিনিয়র নেতাকে গ্রেপ্তার করে সে নজির সৃষ্টি করেছে। এটা কালো ইতিহাস। এতে প্রমাণিত হয়েছে, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। আওয়ামী লীগ ’৭৫-এর মতো বাকশাল গঠন করতে চায়। কিন্তু তাদের সে স্বপ্ন গণতন্ত্রকামী মানুষ পূরণ হতে দেবেন না। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতির মামলা আবার পুনরুজ্জীবিত করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এম কে আনোয়ার। তিনি বলেন, এ সরকার শেখ হাসিনার ১০টি দুর্নীতির মামলা প্রত্যাহার করেছে। জনগণের সরকার এলে মামলাগুলো পুনরুজ্জীবিত করা হবে।
মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবদুস সালামের সভাপতিত্বে সমাবেশে জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমির মকবুল আহমাদ, এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ, বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ, খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মে. জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, এনডিপির চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা, ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান আবদুল মবিন, পিপলস লীগের চেয়ারম্যান গরীব নেওয়াজ, ন্যাপ-ভাসানীর চেয়ারম্যান শেখ আনোয়ারুল হক, মুসলিম লীগের নির্বাহী সভাপতি এ এইচ এম কামরুজ্জামান, বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিঞা, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, শমসের মবিন চৌধুরী, সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, শামসুজ্জামান দুদু, যুগ্ম মহাসচিব মিজানুর রহমান মিনু, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাগপা সেক্রেটারি খন্দকার লুৎফর রহমান, এলডিপির প্রেসিডিয়াম সদস্য রেদোয়ান আহমেদ, বিকল্প ধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহি বি চৌধুরী, জামায়াতের প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক তাসনীম আলম, মহানগর নায়েবে আমীর হামিদুর রহমান আযাদ এমপি, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, এনপিপির সেক্রেটারি ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মনি, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামে সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা জহিরুল ইসলাম।
শরিক দলের নেতারা যা বলেন-
জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত আমীর মকবুল আহমাদ বলেন, গণসমাবেশ আসার পথে বাধা দিয়ে কোন লাভ হয়নি সরকারের। এতে সমাবেশ সাফল্য এবং উপস্থিতি হয়েছে বেশি। তিনি বলেন, অন্যায়, অত্যাচার-জুলুম-নির্যাতনের জন্য এ সরকারকে অবশ্যই খেসারত দিতে হবে।
এলডিপি’র সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেন, ২০ লাখ লোক আজ সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা দিয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে একদিন নির্বাচন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তিনি। খেলাফত মজলিশের আমীর মাওলানা মো. ইসহাক বলেন, এ সরকারের কাঁধে কালো বিড়াল সওয়ার হয়েছে, এজন্য তারা ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। পুলিশকে তারা জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। বিজেপি’র চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ ও আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলামের জন্য জেলখানায় রুম ঠিক করে এসেছি, তাদেরকে ছাড় দেয়া যাবে না। তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুনের সাফল্যের কথা শুনে পুলিশ বাহিনীর লোকেরা হাসে।
ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মাওলানা আবদুল লতিফ নেজামী বলেন, এ সরকারের কোন কথার বিশ্বাস নেই। তাদের সঙ্গে কোন আলোচনা নয়- আন্দোলন করেই দাবি আদায় করতে হবে। কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বলেছেন, সভা-সমাবেশ নয়, এবার রাজপথ দখল করার শপথ নিতে হবে। তিনি খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে তরুণ সমাজকে এই শপথে উদ্বুদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।