দুর্নীতির অভিযোগে পদ্মা সেতু নির্মাণে বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করেছে বিশ্বব্যাংক। শনিবার বিবিসি অনলাইন সূত্রে এ কথা জানা গেছে।
উল্লেখ্য, ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতু নির্মাণে এর আগে বিশ্বব্যাংকসহ কয়েকটি ঋণদাতা সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে সরকার। কিন্তু দুর্নীতির অভিযোগে গত বছরের অক্টোবরে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন স্থগিত করলে বহু প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতু প্রকল্প আটকে যায়।
দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তের মুখে থাকা পদ্মা সেতু প্রকল্পের প্রাক-যোগ্যতা নির্ধারণী প্রতিষ্ঠানের সংক্ষিপ্ত তালিকার কানাডীয় প্রতিষ্ঠান এসএনসি-লাভালিনের একটি ইউনিটের বিশ্বব্যাংকের কোনো প্রকল্পে অংশগ্রহণের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞাও জারি হয়েছে।
বিশ্ব ব্যাংকের অনুরোধে কানাডিয়ান পুলিশ লাভালিনের কার্যালয়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারি তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র জব্দ করাসহ লাভালিনের ২ জন শীর্ষ কর্মকর্তাকে আটক করে।
এ প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে নিজেদের করা তদন্তের রিপোর্ট ও কিছু দালিলিক প্রমাণ নিয়ে কানাডার রয়েল মাউন্টেড পুলিশের প্রতিনিধি দল গত সোমবার ঢাকায় আসেন।
প্রসঙ্গত, চুক্তি অনুযায়ী, ২৯০ কোটি ডলারের এ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের ১২০ কোটি ডলার দেয়ার কথা। এছাড়া এ প্রকল্পে এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) ৬১ কোটি, জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ৪০ কোটি এবং ইসলামিক উন্নয়ন ব্যাংক (আইডিবি) ১৪ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার কথা। আর সরকারের বাকি অর্থের যোগান দেয়ার কথা ছিল।
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন স্থগিত হওয়ার পর মালয়েশিয়া দেশের সর্ববৃহৎ এ নির্মাণ প্রকল্পের বিষয়ে আগ্রহ দেখায়। পরে ৩১ জানুয়ারি এ প্রকল্পে ২৯০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেয় মালয়েশিয়া। এরপর গত ২৫ মার্চ দেশটির মন্ত্রিসভা পদ্মা সেতুতে বিনিয়োগ প্রস্তাব অনুমোদন করে।