রংপুরকে দেশের দশম সিটি কর্পোরেশন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এই ঘোষণায় উল্লাসে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা।
রোববার নতুন অর্থবছরের প্রথম দিন থেকেই এ সিটি কর্পোরেশনের যাত্রা শুরু হচ্ছে।
২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি রংপুরের জিলা স্কুল মাঠে মহাজোটের জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুরকে সিটি করপোরেশন করার ঘোষণা দেন। ওই ঘোষণা বাস্তবায়নের দাবিতে স্থানীয় জনগণ দীর্ঘদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন। নতুন অর্থবছর থেকেই এ কর্পোরেশনের জন্য বরাদ্দ রাখারও দাবি জানিয়ে আসছিলেন তারা।
রংপুর পৌরসভা ছাড়াও রাজেন্দ্রপুর, সাতগাড়া, হরিদেবপুর, উত্তম, দর্শনা, তামপাট, তপোধন, সদ্যপুষ্করনী, পরশুরাম, চন্দনপাট, কাউনিয়া উপজেলার সারাই এবং পীরগাছা উপজেলার কল্যাণী ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হচ্ছে এই সিটি কর্পোরেশন।
এদিকে রংপুরকে সিটি করপোরেশন ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারির খবর জানাজানি হলে রংপুরে সব স্তরের মানুষের মধ্যে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন বের করে আনন্দ শোভাযাত্রা। বিভিন্ন স্থানে হয়েছে মিষ্টি বিতরণ।
রংপুরকে সিটি করপোরেশন ঘোষণা করায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক ও ব্যবসায়ী সংগঠন প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
অন্যদের মধ্যে রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল মনসুর আহাম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু, মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি শাফিয়ার রহমান সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, রংপুর চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি মো. মোছাদ্দেক হোসেন বাবলু, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা সোহরাব চৌধুরী টিটু, সহ-সভাপতি মো. হাবিবুর রহমান রাজা শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তারা সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসনিক কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা চেয়েছেন।
এ ছাড়া বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, রংপুর সিটি করপোরেশন বাস্তবাায়ন সংগ্রাম পরিষদ, সমাজ পরিবর্তন উন্নয়ন ফোরাম আলাদা বিবৃতিতে প্রধানমর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে।
রংপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুর রউফ মানিক বলেন, “এ অঞ্চলের মানুষের প্রাণের দাবি পূরণ হলো। এ জন্য আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।”